আর্সেনাল-ম্যানসিটির দাপুটে জয়
প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
দুটি পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করলেন অলি ওয়াটকিন্স। আফসোসে মাথায় হাত পড়ল অ্যাস্টন ভিলার। অথচ সুযোগ কম পেলেও যখন পেয়েছে, তখন তা কাজে লাগিয়ে দুটি গোল করেছে আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠ ভিলা পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অ্যাস্টন লিভার বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ এক স্বস্তির জয় পেয়েছে আর্সেনাল। রাতের অপর ম্যাচে আর্লিং হাল্যান্ডের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ইপসউইচ টাউনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পেপ গার্দিওয়ালার দল ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ১৬ মিনিটে আর্সেনাল এগিয়েই গিয়েছিল। বুকায়ো সাকার বাঁ পায়ের বাঁকানো শট ডান পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে পাঠান ভিলা কিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। কিছুক্ষণ পরই চমৎকার সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে ভিলা। লিওন বেইলি আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন। তারপর মরগান রজার্স একেবারে গোলমুখের সামনে দাঁড়ানো ওয়াটকিন্সের দিকে বল বাড়ান। ১০ গজেরও কম দূরত্বে ছিলেন ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার প্রথমবারের শট বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে মাঠের বাইরে যায়।
বিরতির আগে দুই দলই একটি করে পরিষ্কার সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে। দ্বিতীয়ার্ধে আবার গোল মিস করেন ওয়াটকিন্স। ৭৪ মিনিটে আমাদো ওনানার শট আর্সেনালের ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। চার গজ দূর থেকে ওয়াটকিন্স হেড করেছিলেন, কিন্তু অতিথি কিপার ডেভিড রায়া দুর্দান্ত সেভ করেন। অবশেষে বদলি খেলোয়াড় লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ডের গোলে ৬৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ১০ মিনিট পর থমাস পার্টির গোলে গানারদের জয় সুনিশ্চিত হয়েছে। গত মৌসুমে দুইবারের দেখাতেই হেরেছিল আর্সেনাল। তাতে শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকেই যায় গানাররা। এবার সেই আক্ষেপ মেটাল তারা ভিলা পার্কে জিতে।
অপরদিকে মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ আল ইতিহাদে আর্লিং হাল্যান্ডের হ্যাট্রটিকে ইপসউইচ টাউনকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে সিটিজেনরা। হাল্যান্ডের তান্ডবের মধ্যে বাকি গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রইন। নতুন মৌসুমের দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পেল ম্যানসিটি। টানা পঞ্চম লিগ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে পেপ গার্দিওয়ালার দল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ইপসউইচের পয়েন্ট ০। ইতিহাদে মাত্র ৭ মিনিটে গোল করে সিটির
দর্শকদের চোখ কপালে তুলেছিল ইপসউইচ। ম্যাচের শুরুর দিকে গোল হজম করে ফুঁসতে থাকে ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা। সিটিজেনের রাগের
বিস্ফোরণ ঘটান হালান্ড।
ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান। পেনাল্টি শুটে ইপসউইচের জাল প্রথমবার কাঁপান তিনি। ১৬ মিনিটে আবারও গোল করেন এই দীর্ঘদেহী ফরোয়ার্ড। হাল্যান্ডের দুই গোলের মাঝখানে স্যান্ডউইচের মতো একটি গোল (১৪ মিনিটে) করেন ডি ব্রম্নইন। অর্থাৎ ৪ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে ম্যানসিটি। এর মধ্যে দুটি হাল্যান্ডের। একটি ডি ব্রম্নইনের চতুর্থ গোলটি করার জন্য অবশ্য অনেক সময় নিয়েছে সিটি। এই গোলটি এসেছে ৮৮ মিনিটে। এবারও প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান হাল্যান্ড। ১৮ গজের বক্সের বাইরে থেকে রকেট শটে গোল করেন তিনি। এতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় এই নরওয়েজিয়ানের।