নতুন মৌসুমে খেলবে না বলে আগেই বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলের নামে প্রতিষ্ঠিত ক্লাব দুটির পৃষ্ঠপোষক বসুন্ধরা গ্রম্নপ সরে গেছে। ফুটবলারদের দলবদলের শেষ দিনে শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল খেলোয়াড় তালিকা অনুমিতভাবেই জমা দেয়নি বাফুফের কাছে।
চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যানেজার আরমান আজিজ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'আমরা দল গড়ছি না। অনেক চেষ্টা করেছি। অল্প কিছু টাকা হলেও দলটাকে এগিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু হলো না। এর চেয়ে বড় দুঃখের আর কিছু নেই।' কিন্তু দলবদল কার্যক্রম শেষ হওয়ার ঠিক আধঘণ্টা আগে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি জানান, তারা ক্লাব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কয়েকজন মিলে চট্টগ্রাম আবাহনীর একটা খেলোয়াড় তালিকা তৈরি করে বাফুফের কাছে জমা দিতে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম আবাহনীকে তারা 'শেষ' হয়ে যেতে দেবেন না।
এমিলি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'চট্টগ্রাম আবাহনীর মতো দল না খেললে সেটা ফুটবলের জন্য বিরাট ক্ষতি। এমনিতেই শেখ জামাল-শেখ রাসেল খেলছে না। এখন চট্টগ্রাম আবাহনীও না খেললে এতগুলো খেলোয়াড় কোথায় যাবে? তাই আমি, মামুনুল ইসলাম (জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক), রেজাউল করিম (বর্তমান খেলোয়াড়) মিলে চট্টগ্রাম আবাহনীর একটা দল দাঁড় করিয়েছি।'
জানা গেছে, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ও চট্টগ্রাম আবাহনী খেলোয়াড় তালিকা জমা দিতে বাফুফে ভবনে অবস্থান করছিল।
প্রিমিয়ার লিগের ১২টি ক্লাবের মধ্যে আবাহনীর ২১ জনের তালিকা বাদ দিলে পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড় তালিকা জমা দেয় ৬টি ক্লাব, বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডান স্পোর্টিং, বাংলাদেশ পুলিশ, ফর্টিস এফসি, ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল ও রহমতগঞ্জ। রহমতগঞ্জ ২৭ জন দেশি ও ৫ জন বিদেশির নাম জমা দিয়েছে। যার মধ্যে আছে আবাহনীর ছেড়ে দেওয়া স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ ও গোলকিপার শহিদুল আলম।