শিরোপায় চোখ মোহামেডানের
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসকে একটু চাপে রেখেছিল, চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল কেবল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আসছে মৌসুমে আরও ভালো ফলের প্রত্যাশা সাদা-কালো জার্সিধারীদের। দলটির কোচ আলফাজ আহমেদও প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, গত মৌসুমের চেয়ে এবার আরও ভালো ফল পেতে চান তিনি। গত মৌসুমে দুই টুর্নামেন্টে ফাইনালে খেলেও শিরোপা জেতা হয়নি। ব্যর্থতার এই বৃত্ত ভাঙতে চান মোহামেডানের কোচ।
২০০২ সালে সবশেষ লিগ জেতা মোহামেডান ২০০৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর এই ট্রফির স্বাদ পায়নি। চার মৌসুমে তারা হয়েছিল লিগ টেবিলে দ্বিতীয়। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফেডারেশন কাপ জেতা মোহামেডান গত মৌসুমে ফাইনালে উঠলেও মুকুট ধরে রাখতে পারেনি। হেরে যায় বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালেও কিংসের বিপক্ষে হেরে স্বপ্ন ভাঙে তাদের। ব্যর্থতার এই বৃত্ত এবার ভাঙতে চান আলফাজ। তবে আগে গত মৌসুমের অবস্থান ধরে রাখতে চান সাবেক এই তারকা স্ট্রাইকার, পরে ভাবতে চান বাকিটা,'মোহামেডানের লক্ষ্য তো সবসময় ভালো ফল করার। গতবার আমরা প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল করেছি। তার আগের মৌসুমে লিগে আমরা চতুর্থ হয়েছিলাম, গতবার হয়েছিলাম দ্বিতীয়। এই ফল ধরে রাখার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও লড়াই করব আমরা। সমর্থকদেরও একটু বুঝতে হবে, বসুন্ধরা কিংস এখনও ভালো দল, তারা লিগের চ্যাম্পিয়ন। তাদেরকে হারানো কঠিন ব্যাপার। তবে আমরা চেষ্টা করব সেরা ফল পেতে। কিভাবে বসুন্ধরাকে হারানো যায়, সেই পথ আমরা খুঁজব, সর্বোচ্চ চেষ্টাই আমরা করব ওদের হারাতে।'
ক্ষমতার পালাবদলে ক্লাব পর্যায়ে সংকট তৈরি হয়। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র দলবদল থেকে সরে দাঁড়ানোয় অনেক খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। আলফাজ জানালেন, তারা চেষ্টা করেছেন, খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে,'আসলে যখন দুইটা ক্লাব দল না গড়ার সিদ্ধান্ত নিল, তখন আমরা চেষ্টা করেছি, কয়েকজন খেলোয়াড়কে একটু জায়গা দেওয়ার। এ কারণে ৩৭ জন খেলোয়াড় দলে টেনেছি আমরা। দল নিয়ে আমি খুশি, যাদের নিয়েছি, তাদের অধিকাংশই তরুণ খেলোয়াড়।'
ক্যাম্প শুরুর সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত করেননি আলফাজ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এখন মৌসুম শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেননি। বাফুফে জানালে নতুন লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবেন বলে জানালেন মোহামেডান কোচ।
এবার মোহামেডান ছেড়েছেন শাহরিয়ার ইমন, হাসান মুরাদসহ মোট চার জন। আলফাজের মনে হচ্ছে, তাদের শূন্যতা পূরণে মানসম্পন্ন তরুণদের দলে ভিড়িয়েছেন তিনি,'আবাহনীর রাফি, রহিম, শেখ জামালের দিপু, রাজীব-এদের মতো কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে নিয়েছি। আমাদের যে চার জন চলে গেছে, তাদের চেয়ে বেশি ভালো মানের পেস্নয়ারই পেয়েছি আমরা। দল নিয়ে আমি খুশি, দলে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই তরুণ।'