বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ক্রিকেটারদের

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ক্রিকেটারদের

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের ৮টি জেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনস্থল দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে থাকায় একের পর এক জনপদ পস্নাবিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে মন কাঁদছে দেশবাসীর। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে

আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখেছেন, 'আলস্নাহ আপনি ভয়াবহ বন্যা থেকে সবাইকে হেফাজত করুন।'

বৃহস্পতিবার দুপুরে রুবেল হোসেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, 'এত পানি কোথা থেকে এলো, কেনই বা গভীর রাতে সব গেট খুলে দিলো। এই অসহায় গরিব দেশ কি এই প্রশ্নের উত্তর কোনোদিনই জানবে না?'

জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় ফেসবুকে লিখেছেন, 'কী লিখব? কী লেখা উচিৎ? নিজেকে অসহায় মনে হয় যখন সরাসরি দেশের কোনো দুর্যোগে পাশে থাকতে পারি না। বন্ধুদের পাঠিয়েছি, ওরা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। তবে আমার কষ্ট লাগছে যতটুকুই করা হবে তা কি যথেষ্ট? তবু করতে হবে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এখন না, পানি নেমে যাওয়ার পর পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকতে হবে। নৌকা, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার যে যেভাবে পারেন। কোনো ব্যাপার না। আমরা জন্ম থেকেই সংগ্রাম করতে জানি, এবারও করবো। আলস্নাহ এ যাত্রায়ও আমাদের রক্ষা করবেন পরম করুণাময়।'

পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করা পেসার শরিফুল ইসলাম প্রথম দিনের খেলা শেষে ফেসবুকে লিখেছেন, 'রাব্বানাকশিফ আন্নাল আযা-বা ইন্না-মু'মিনূন। হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।' [সূরা আদ-দুখানঃ১২] হে আলস্নাহ, বন্যাকবলিত মানুষের প্রতি সহায় হোন, আমিন।'

বন্যাকবলিত একটি শিশুর ছবি পোস্ট করে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান লিখেছেন, 'এই ছবি দেখার

পর নিজেরে সম্পূর্ণ অসহায় লাগতেছে। আলস্নাহ দয়া করে

\হতাদের এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করুন।'

বাংলাদেশ জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার এনামুল হক

বিজয় নিজের পোস্টে লিখেছেন, 'দেশের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি। পুরা ফেনী তলিয়ে গেছে। ইলেক্ট্রিসিটি, মোবাইল নেটওয়ার্ক কিছুই নেই। দুয়েক ঘণ্টা পরে ফেনীর ভেতর থেকে আর কোনো খবর মোটেও পাওয়া যাবে না। বন্যার্ত মানুষের আর্তনাদ দেখে নিজেকে কোনোভাবেই শান্ত রাখতে পারছি না। এই দুর্যোগ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আলস্নাহর রহমতে আমরা অচিরেই এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবো ইনশাআলস্নাহ। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার একে অপরকে সহযোগিতা করা।

আলস্নাহ সবাইকে হেফাজত করুক।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে