সাফ অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপে সহজ গ্রম্নপেই পড়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে তাই খুব বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়নি মারুফুল হকের শিষ্যদের। তবে তাদের প্রথম পরীক্ষা বলা চলে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ। সেই পরীক্ষাটা উৎরাতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। বৃহস্পতিবার নেপালের আনফা কমপেস্নক্সে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হরিয়েছে স্বাগতিকরা।
দুই ম্যাচ হেরে গ্রম্নপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে তাদের বিপক্ষে যে নেপাল জিতেছিল ১-০ গোলে, তাদের কাছেই কিনা বাংলাদেশ হার মানলো ২-১ গোলের ব্যবধানে! প্রস্তুতি ঘাটতি নিয়ে সাফের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তারপরও তাদের প্রত্যাশা ফাইনালে খেলার। এরপরের লক্ষ্য শিরোপা জয়। কিন্তু নেপালের কাছে হেরে গ্রম্নপের রানার্সআপ হওয়াতে সেমিফাইনালে 'বি' গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন দলকে মোকাবিলা করতে হবে লাল-সবুজদের। সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে পারে ভারত। এক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে নূ্যনতম ড্র করতে পারলেও গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। ভারতের গ্রম্নপের অন্য দল ভুটান দুই ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ভুটানের কাছে হেরে এখনো পয়েন্টশূন্য মালদ্বীপ। এই গ্রম্নপের তিন দলেরই এখনো পয়েন্ট সমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আজকের ম্যাচে নির্ধারিত হবে কোন দুই দল খেলবে সেমিতে একই সঙ্গে গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপও।
বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপেস্নক্সে ম্যাচ শুরুর ১৬ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে এক ডিফেন্ডার নিজেদের অর্ধ থেকে বল ক্লিয়ার করেন। তখন গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও বল ঠিকঠাক দুই পায়ে জমাতে পারেননি মেহেদী হাসান শ্রাবন। বল পায়ে রেখে থ্রম্ন দেওয়ার আগেই সামির তামাং তড়িৎ ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকায় পোস্টে ঢুকে সহজেই জড়িয়ে দেন জালে (১-০)। পেছন পেছন শ্রাবন দৌড়েও অসহায় চোখে দেখেছেন দলের পিছিয়ে পড়া!
দুই মিনিট পর নেপাল ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয়। অভিনাশের ডান প্রান্তের ক্রসে নিরঞ্জন ধামি দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তড়িৎ গতিতে পা চালিয়ে দেন। তাতেই স্বাগতিকরা আবারও পিছনে ফেলে দেয় লাল-সবুজ দলকে (২-০)। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ৫টি কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। তার পরেও গোল পায়নি। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চন্দন রায়ের জোরালো শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৩১ মিনিটে বাংলাদেশ দুজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। বাংলাদেশ অবশেষে সুফল পায় ৪২ মিনিটে। স্কোরলাইন হয় (২-১)। মিরাজুল ইসলামকে ফেলে দিয়েছিলেন দুই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে মিরাজুল গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনেন।
বিরতির পর বল দখলে রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেও মারুফুল হকের দল সফল হতে পারেনি। আসলে পরিকল্পিত আক্রমণ বলতে যা বোঝায় তা সেভাবে হয়নি। ৮৫ মিনিটে নোভার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। শেষ মিনিটে স্বাগতিকদের অবিনাশের ফ্রি-কিক শ্রাবন প্রতিহত করে ব্যবধান বাড়তে দেননি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার হাত দিয়ে কোনমতে আটকে দিয়ে ম্যাচ ড্র হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। তাতে পরাজয়ের হতাশা নিয়েই
বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে।