ফেডারেশনের সংস্কার চেয়ে ১৯ দফা দাবি ভলিবল খেলোয়াড়দের
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ভলিবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনার জন্ম ২০১৬ সালে। সেবার এশিয়ান সিনিয়র পুরুষ সেন্ট্রাল জোন আন্তর্জাতিক ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ। সাঈদ আল জাবীর, হরষিত বিশ্বাস, সোহেল রানা, ইমরান হায়দার কাঞ্চন, মাসুদ মিলন, কায়সার হামিদ, আব্দুল মুমিন সাদ্দামদের হাত ধরে ইতিহাস রচনা করেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জাতীয় পুরুষ দলের পাশাপাশি ২০২২ সালে বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-২৩ দলও একই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে। তানভীর, রাকেশ, রেদোয়ান, রিসালাতদের হাত ধরে আসা সেই শিরোপা। এই দুই শিরোপা জয়ের নায়করা ভলিবল কোর্ট ছেড়ে গতকাল সোমবার রাস্তায় নেমে এসেছেন। ঘুণে ধরা ভলিবল ফেডারেশনকে বাঁচাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে জানিয়েছেন আকুল আবেদন।
বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হলেও আওয়ামী লীগের ক্রীড়া কমিটির সদস্য, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী বাবুলসহ অন্য বেশিরভাগ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
ফেডারেশন সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ দফা দাবি নিয়ে গতকাল পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন খেলোয়াড়রা।
বর্তমান কমিটির নানান দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে স্স্নোগানে স্স্নোগানে মুখর করে তোলেন ফেডারেশন পাড়া বলে পরিচিত গুলিস্তান-পল্টনের রাজপথ।
এ ব্যাপারে ভলিবল ফেডারেশন সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক জাতীয় দলের সাবেক তারকা মিডল বস্নকার সোহেল রানা বলেন, 'আমরা ১৯ দফা দাবি নিয়ে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। যেখানে আমাদের প্রথম এবং প্রধানতম দাবিই হচ্ছে বর্তমান কমিটির অর্থব সদস্যদের পদত্যাগ। আমরা চাই অতিসত্বর অ্যাডহক কমিটি গঠিত হোক, সাবেক খেলোয়াড়দের ৩০ ভাগ সেই কমিটিতে রেখে। আশা করি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাদের যৌক্তিক ১৯ দফা দাবিগুলো দেখবেন এবং অতিসত্বর ব্যবস্থা নেবেন। কারণ দীর্ঘ যুগ-কাল ধরে আমরা খেলোয়াড়রা নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, বঞ্চিত।' সোহেল রানার সুরে সুর মিলিয়ে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং সহ-সমন্বয়ক আব্দুল মুমিন সাদ্দাম জানান, 'আজ সারাদেশ থেকে আমাদের এই আন্দোলনে খেলোয়াড়রা শামিল হয়েছেন। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা খেলোয়াড়রা সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, স্যোসাল মিডিয়া পস্নাটফর্ম ফেসবুকে তারা বিভিন্ন ভিডিও বার্তা দিয়ে আমাদের দাবির পক্ষে তাদের
সমর্থন জানিয়েছেন।'