বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে চ্যালেঞ্জের সামনে পাকিস্তান
প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছাত্র আন্দোলনে বেহাল দশা পাকিস্তানে। বেশকিছু জায়গায় বন্ধ আছে ইন্টারনেট সেবা। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফেডারেশন। এমন অবস্থায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ২১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ নিয়ে।
তবে খেলার মাঠে রাজনীতির প্রভাব পড়তে দিতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই টেস্ট সফলভাবে শেষ করতে চায় পাক বোর্ড। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে পিসিবি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের মতো পাকিস্তানেও বিক্ষোভ শুরু করেছেন দেশটির ছাত্ররা। নানা দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফেডারেশন-পিএসএফ। দাবি পূরণ না করা হলে
দেশব্যাপী বিক্ষোভের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এমন কঠিন সময়ে পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার মুখে
পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে, কোথাও খোলা থাকলেও গতি বেশ কম। বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা কিছুই বলতে পারছে না। আন্দোলন বেগবান হতে দিতে চায় না
শাহবাজ সরকার। এ কারণে ইচ্ছা করেই ইন্টারনেট বিভ্রাট সৃষ্টি
করা হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে বর্তমান পাকিস্তানে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
দেশের মাটিতে এমন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আগেভাগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যান টাইগাররা। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়েও সেই একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যেই নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছে শান্ত-শরিফুলরা। ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে।
পরের টেস্ট ৩০ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করাচিতে। তবে চলমান আন্দোলনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যেকার টেস্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে। কারণ পরিস্থিতি
আরও খারাপ হলে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা শঙ্কায় বাতিল হয়ে
যেতে পারে খেলা। তবে নাজুক পরিস্থিতির প্রভাব যাতে মাঠে
না পরে সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েেেছ পিসিবি।
এমনিতেই রাজনৈতিক অস্থিরতার বলি পাকিস্তান। ২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বন্ধ ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। আগামী বছর ফেব্রম্নয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তার আগে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে আসর সরিয়ে নিতে পারে আইসিসি। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে চ্যালেঞ্জের সামনে পিসিবি। আন্দোলনের প্রভাব যেন খেলার মাঠে না পড়ে তা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে পিসিবি।