দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব ক্রিকেটে নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। প্রথমে ভারতকে প্রস্তাব
দিলেও তা গ্রহণ করেননি বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।
\হতাই বিকল্প ভেনু্য হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে
নিয়ে ভাবছে আইসিসি। তবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় জিম্বাবুয়ে।
ইতোমধ্যে নিজেদের আগ্রহের কথা আইসিসির কাছে প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, নিজেদের
আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে আইসিসির কাছে প্রকাশ
করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড।
নিরাপত্তা ইসু্যতে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরে টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, নিজেদের আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে আইসিসির কাছে প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৮ ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব সফলভাবে আয়োজন করে
জিম্বাবুয়ে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ
আইসিসি ইভেন্ট পেতে চায় তারা।
এর আগে ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর লম্বা সময় তারা বড় কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। আর্থিকভাবে সংকটে থাকা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড তাই মুখিয়ে আছে এবারের সুযোগ লুফে নিতে।
আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর হওয়ার কথা মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপ। তবে সেটি বাংলাদেশে হবে কি
না সেই সিদ্ধান্ত আসবে ২০ আগস্ট।
ক্ষমতার পালাবদল কেন্দ্র করে বাংলাদেশে চলছে অস্থিরতা। পুলিশিব্যবস্থা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা সংকট। সেই সঙ্গে চলমান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের টানাপড়েন
স্পষ্ট। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ড পরিচালকদের সরে যাওয়ার গুঞ্জন আসছে। নতুন করে বোর্ড সাজানোর কথাও শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে।
এমন অবস্থায় অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।
এদিকে মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের বিকল্প ভেনু্য হিসেবে এর আগে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম। আমিরাতে অবকাঠামো প্রস্তুত। জিম্বাবুয়েতে গ্যালারিতে আসনসংখ্যা কম হলেও সেখানকার মানুষ বেশ আমুদে ও খেলাপ্রিয়। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচও আমিরাত থেকে পড়বে কম।
জিম্বাবুয়ের সুবিধা আছে আরেকটি। দেশটির আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক, যা আমিরাতে মিলবে না। তবে এই দুই সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ হবে তখনই, যখন বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবে। কারণ এখনো বিশ্বকাপ আয়োজন ধরে রাখার অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
মূলত শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং নাজমুল হাসান পাপনের আত্মগোপনের পর বাংলাদেশে এই টুর্নামেন্ট মাঠে
গড়ানো নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। কারণ সরকার পতন
কেন্দ্র করে থানা ও পুলিশের ওপর হামলায়
আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধসে পড়েছে।
বহু পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ কর্মবিরতি পালন করে কয়েকদিন। পুলিশ কাজে ফিরলেও বেশির ভাগ থানার অবকাঠামো এখনো বিধ্বস্ত। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের পরিবর্তে বিকল্প ভেনু্যতে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে।