সাফ অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়াচ্ছে আজ থেকে। নেপালের আনফা কমপেস্নক্সে দুই গ্রম্নপে অংশ নেবে ৬ দেশ। গ্রম্নপ 'এ'তে আছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা ও নেপাল। গ্রম্নপ 'বি'তে ভারত, মালদ্বীপ ও ভুটান। আজ শ্রীলংকা ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। মাত্র দু'সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়েও এই টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। শনিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান শ্রাবণ জানালেন ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরতে চান তারা।
১৯ আগস্ট 'বি' গ্রম্নপের ম্যাচে ভুটানের প্রতিপক্ষ ভারত। বাংলাদেশের সাফ মিশন শুরু হবে ২০ আগস্ট শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ২১ আগস্ট মালদ্বীপ-ভুটানের ম্যাচ। ২২ আগস্ট বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। ২৩ আগস্ট মুখোমুখি হবে ভারত-মালদ্বীপ। গ্রম্নপ পর্ব শেষে একদিন বিরতি দিয়ে ২৫ আগস্ট প্রথম সেমিফাইনালে 'এ' গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে গ্রম্নপ 'বি' রানার্স আপের বিপক্ষে। পরদিন (২৬ আগস্ট) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গ্রম্নপ 'বি'-এর চ্যাম্পিয়ন দলের মুখোমুখি হবে গ্রম্নপ 'এ'র রানার্স আপ। ২৮ আগস্ট ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে বয়সভিত্তিক এই সাফ টুর্নামেন্টের।
যদিও ২০ আগস্ট প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শনিবার নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
মারুফুল বলেন, 'আমাদের এই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় দু'মাস আগে লিগ শেষ করেছে। এরপর তারা ট্রেনিংয়ে ছিল না। যেহেতু আমি দু'সপ্তাহ পেয়েছি। সেখানে আমার বেশি ফোকাস ছিল তাদের ফিটনেস এবং ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোয়। কারণ আমি জানি এই টুর্নামেন্টে আমার দেশের যারা ফুটবল ভালোবাসেন, ফুটবল দেখেন তাদের একটা আশা আছে আমাদের টিমটা চ্যাম্পিয়ন হবে বা ফাইনালে খেলবে। যদিও ১৫ দিন খুব বেশি সময় না। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি আমার সব মেধা কাজে লাগিয়ে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট লেভেলে ফিটনেসটা নিয়ে আসার জন্য।'
যেহেতু এই দলের সবাই মোটামুটি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাই তাদের ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো টিউন করলে হয়তো এই টুর্নামেন্টের জন্য ফিট হবে এবং যেটা বলছিলাম, যে সবারই প্রত্যাশা টিমটা ফাইনাল খেলুক এবং চ্যাম্পিয়ন হোক। আমিও ইনসালস্নাহ আশাবাদী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা ফাইনাল খেলতে পারব এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারব।' যোগ করেন মারুফুল হক।
অধিনায়ক শ্রাবণ বলেন, 'আমরা গত দুই সপ্তাহ ভালোভাবে দেশে প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। সুস্থ একটা স্কোয়াড নিয়ে এই দেশে আসতে পেরেছি। দেশবাসীর একটা প্রত্যাশা আছে, আমরা যেন এখান থেকে একটা ভালো ফলাফল নিয়ে দেশে ফিরতে পারি, সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। জাতীয় দল আর বয়সভিত্তিক জাতীয় দল দুটোই আন্তর্জাতিক ম্যাচ। চাপ কম-বেশি এটা বলা যাবে না। আমি মনে করি চাপটা একটু কম থাকবে তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আন্তর্জাতিক ম্যাচই।'