প্রশ্ন শুনে ক্রমাগত মাথা নাড়াতে থাকলেন লুইস এনরিক। এক ধরনের আওয়াজও বের হলো তার মুখ থেকে, যেখানে বিরক্তি ও অসন্তুষ্টির প্রকাশ স্পষ্ট। চোখে-মুখে বিস্ময়ের ছাপও ফুটে উঠল। তিনি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে পিএসজি কোচ বললেন, 'এখনো এই প্রশ্ন!'
প্রশ্নটি ছিল কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে। তাই পিএসজি কোচের অমন প্রতিক্রিয়া। গত মৌসুমের শেষ দিকে এনরিকের প্রায় প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনেই এমবাপেকে নিয়ে প্রশ্ন ছিল অবধারিত। তিনি কখনো জবাব দিয়েছেন, কখনো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। নানা ঘটনা প্রবাহের পর মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন ফরাসি তারকা। কিন্তু এমবাপে চলে গেলেও রয়ে গেছে তার রেশ। সেটিই বোঝা গেল নতুন মৌসুম শুরুর আগে এনরিকের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে।
রিয়ালের হয়ে অভিষেকেই ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপিয়ান ট্রফির স্বাদ পেয়েছেন এমবাপে। উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে আটালান্টার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে একটি গোলও করেছেন তিনি। এনরিকের সংবাদ সম্মেলনে স্প্যানিশ এক সংবাদকর্মী এমবাপের সেই ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করতে বলেন পিএসজি কোচকে। পাশাপাশি, সেরা তারকাকে হারানোর পর দলের সামনে এগোনোর পথ নিয়েও জানতে চান তিনি।
এনরিকে তার বিস্ময় ও বিরক্তি বুঝিয়ে দেন অঙ্গভঙ্গিতেই। পরে বলেন, 'স্প্যানিয়ার্ডরা সত্যিই পাগলাটে, তাই না? মাই গড মাই গড আপনি এখনও ওই প্রসঙ্গেই পড়ে আছেন!!! আপনি কি এখানে (প্যারিস) থাকেন নাকি কোথায়? অলিম্পিক উপভোগ করেছেন? ভালো। পরে অবশ্য এমবাপেকে নিয়ে বিস্তারিত উত্তরও দেন পিএসজি কোচ, 'আমার লুকানোর কিছু নেই। সবসময়ই কিলিয়ানকে পছন্দ করেছি। সে ব্যতিক্রমী ও অনন্য একজন ফুটবলার ও মানুষ। গত মৌসুমও তার সঙ্গে কাজ করে দারুণ উপভোগ করেছি, তার ভাই ইথানের সঙ্গেও। তাকেও 'হ্যালো' বলছি। সে (এমবাপে) যেখানেই যাক, মাদ্রিদের হয়ে যেখানেই খেলুক, তার জন্য শুভ কামনা। স্রেফ চাইব আমাদের সঙ্গে দেখা হলে যেন তারা হারে।'
পিএসজির সর্বকালের সফলতম গোল স্কোর হয়ে বিদায় নিয়েছেন এমবাপে। গত মৌসুমেও ৪৮ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৪টি। সেই শূন্যতা পিএসজিতে তৈরি হয়েছেই। তবে কোচের আশা, 'কেউ যদি এবার ৪০ গোল করতে পারে, তাহলে তো দারুণ। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, চার জন্য ফুটবলার ১২টি করে গোল করতে পারলে আরও ভালো। তখন তাদের মোট গোল হবে ৪৮টি, যা ৪০ গোলের চেয়ে ভালো। এই চ্যালেঞ্জটা দারুণ। ফুটবল যে একটা দলীয় খেলা, এটা গোটা বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ এখন আমাদের।'