পদত্যাগ নয়, আবারও নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন কাজী সালাউদ্দিন

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কাজী সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফুটবল আর ক্রিকেটের নেতৃত্বে পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। ক্রিকেটে নাজমুল হাসান পাপন আর ফুটবল থেকে কাজী সালাউদ্দিনের অপসারণ চাইছে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে আমজনতার বড় একটি অংশ। আত্মগোপনে থাকা নাজমুল হাসান পাপন এই ইসু্যতে একদম নীরব। তবে মুখ খুলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়ে আবারও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেখানে পঞ্চম মেয়াদে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, 'আমি পদত্যাগ করব না। নির্বাচন করব। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন কীভাবে?' তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বললে আমি ব্যাপারটা ভেবে দেখতাম। কিন্তু কোথা থেকে কিছু ছেলেপেলে আমাকে হুমকি দেবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওরা (বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস) বলেছে, আমাকে যেখানে পাবে, সেখানেই নাকি মারবে। এটা তো ওরা বলতে পারে না।' বাফুফে সভাপতি বলেন, 'তারা আমাকে বলছে, আমি যেন বলি আর নির্বাচন করব না। কিন্তু তারা বলার কে? আপনি তখনই আমার পদত্যাগের কথা বলতে পারতেন, যদি ফেডারেশনে নির্বাচন না হতো। নির্বাচন হবে ২৬ অক্টোবর। আপনি নিজে নির্বাচন করেন। আমার বিরুদ্ধে আপত্তি করার কে? আমি কিন্তু ২০০৮ সালে নির্বাচন করে চেয়ারে বসেছি। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। বাদল রায়, সালাম মুর্শেদী, হারুনুর রশীদ, তাদের বিপক্ষে নির্বাচন করেছি। আমি নির্বাচন করেই এসেছি। আপনিও নির্বাচন করে আসুন।' পদত্যাগের দাবি করা ফুটবল আল্ট্রাস বিলুপ্ত ক্লাব সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে কথা বলছে বলেও জানালেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, 'ওরা আমার পদত্যাগ চাওয়ার কে, সেটা আমি জানতে চাই। ফুটবলে এভাবে কাউকে নিষিদ্ধ করার নিয়ম কোথায় আছে, তা আমি জানতে চাই। ওরা বললেই তো হবে না। ওরা কারা? ওরা সাইফ স্পোর্টিংয়ের (২০২২ সালে বিলুপ্ত ক্লাবের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন) হয়ে কথা বলছে। ফুটবলে তাদের কতটুকু অবদান আছে?' সংগঠনটি সালাউদ্দিনের পদত্যাগে এক দফা দাবি ঘোষণা করে বলছে, বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দীর্ঘ ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করলেও দেশের ফুটবল উন্নয়নে তার ভূমিকা সবার কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ফুটবলে তার উন্নয়নের ছাপ নেই। অন্যদিকে তার সভাপতি থাকাকালীন সময় ফিফার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জরিমানার কবলে পড়েছেন বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। যা দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। উলেস্নখ্য, সরকার পরিবর্তন হলেও বাফুফেতে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। ফিফার অনিয়ম অনুযায়ী, ফেডারেশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকলে তাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এমনটা হয়েছে অনেক দেশেই।