রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত রানিং ক্রিকেটারদের দলে না ডাকা : লিপু

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন দেশের সেরা দুই ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানও। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই মাশরাফির বাড়ি পুড়িয়ে এবং সাকিবের একটি রাজনৈতিক অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে চলতি বছর আবারও নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। একইভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসানও। ক্রিকেটে থাকাকালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে এখনো। তাই গত রোববার রাজনীতি এবং ক্রিকেট এক সঙ্গে না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এবার সোহানের সুরে সুর মিলিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সেই সঙ্গে রানিং ক্রিকেটারদের যেন দলে না ডাকে রাজনৈতিক দলগুলোকে এই পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিপু বলেন, যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, সেখানে একটি রাজনৈতিক দলেরও উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে না নেওয়া। লিপু বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জন্যই তো কাজ করে। আমার মনে হয় খেলা চালানোর সময়টাতে রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। ভবিষ্যতের জন্য আমি আমার মতামত দিয়ে রাখলাম।' রাজনীতি করার অধিকার সব নাগরিকের আছে। তবে পুরো বছর ধরে ব্যস্ত সময় পার করা ক্রিকেটারদের জন্য রাজনীতিতে নাম লেখানো অতটা সহজ নয়। যার দৃষ্টান্ত সাকিব আল হাসান। রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে ক্রিকেটে ঠিকঠাক সময় দিতে পারেননি, যার ফলে পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক। তাই এই প্রধান নির্বাচক মনে করেন, বিসিবিরও কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। যেখানে ক্রিকেটাররা একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনে চলবে। লিপু বলেন, 'কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, ক্রিকেট বোর্ডের উচিত হবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা। এখানে আসলে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আসা উচিত।' 'সেই গাইডলাইনে থাকবে যদি খেলা থাকে, আবার রাজনীতির কর্মকান্ডও থাকে, তাহলে ক্রিকেটাররা কোনটাকে গুরুত্ব দেবেন? সেই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডের যদি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকে, সেটি হলে খেলোয়াড়রা চিন্তা করতে পারবে, রাজনীতিতে যাওয়ার আগে তাদের কী করতে হবে।' ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে প্রবেশ বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, 'এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ, তাদের পেছনে বিনিয়োগ থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু রাজনীতিতে ঢোকার মাধ্যমে দেশ বঞ্চিত হয়। যারা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের কথা ভিন্ন।' তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতিবিদরাও দেশের জন্যই কাজ করেন। কিন্তু ক্রিকেটারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নতুন করে বিষয়টি ভাবা উচিত। একজন খেলোয়াড়কে তার প্রায়োরিটি সেট করা উচিত।'