পর্দা নামল প্যারিস অলিম্পিকের

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রায় ১৫ দিনব্যাপী প্যারিস অলিম্পিক শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। প্যারিসের সিন নদীতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৬ জুলাই পর্দা উঠেছে অলিম্পিক গেমসের ৪৮তম আসরের। এরপর শুরু হয় পদকের লড়াই। ১৫ দিনের পদকের লড়াইয়ের পর এবার পর্দা নামল প্যারিস অলিম্পিকের। শেষ দিনের লড়াইয়ের আগে স্বর্ণজয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে চীন। অলিম্পিকের আসরকে সফল দাবি করে ফ্রান্সের সাধারণ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টনি এস্টানগেট। প্যারিস অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে আন্দোলনে নামে বেশ কয়েকটি সংস্থা। তারা অভিবাসীদের বাসস্থান দখল ও পানি দূষিত হয়ে যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে সোচ্চার হয়। অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করে জাঁকজমকপূর্ণ আসর আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছিল কয়েকটি বিতর্কও। সিন নদীর পানি দূষিত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে হয়নি ট্রায়াথলনের কয়েকটি ইভেন্ট। বিতর্ক সত্ত্বেও প্যারিসবাসীর আতিথেয়তায় হয়তো মুগ্ধ পর্যটকরা। এজন্যই সমাপনীর আগে নিজের দেশের সাধারণ মানুষকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টনি এস্টানগেট। তিনি বলেন, 'আমি সফল। এ পর্যায়ে এসে এটা আমি বলতেই পারি। তবে একা নই, এ সফলতার ভাগিদার আমার দেশ এবং প্যারিসের সাধারণ নাগরিকরা। আমরা শেষ দুই বছর প্রতিদিন এ আয়োজনের সফলতার জন্য কাজ করে গেছি। হাজারও সমস্যা এসেছে আমাদের সামনে, আমরা সবাই একসঙ্গে সব মোকাবিলা করেছি। ক্রীড়া বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, চেষ্টা থাকলে কী করা সম্ভব। আমি আমার শহর এবং এখানকার মানুষকে নিয়ে গর্বিত।' ফ্রান্সের এই অভাবনীয় সাফল্য আকর্ষণ করেছে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক কমিটিকে। সমাপনী উপলক্ষে এ মূহূর্তে প্যারিসে আছেন ২০২৮ এলএ অলিম্পিক কমিটির কর্তা-ব্যক্তিরা। পুরো অলিম্পিক ভিলেজ ঘুরে দেখেছেন তারা। পর্যবেক্ষণ করেছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। পরে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এই শিক্ষা কাজে লাগাবেন নিজেদের আসরে। পাশপাশি প্যারিসের গণপরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা। গত শনিবার ১০ মিটার পস্নাটফর্ম ডাইভিংয়ে স্বর্ণ জেতায় চীনকে সবার ওপর নিয়ে যান কাও ইওয়ান। এ নিয়ে অ্যাকুয়াটিকের আটটি ইভেন্টেই তারা স্বর্ণ জিতেছে, তাও প্রতিটিতেই তাদের দাপট ছিল বড় ব্যবধানে। অন্যদিকে, একই দিন ছেলেদের বাস্কেটবল, মেয়েদের ফুটবল ও ৪০০ মিটার রিলে স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতে চীনের ঘাড়েই নিশ্বাস ফেলছে আমেরিকানরা। যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ১২২টি পদক জিতলেও ৯০টি পদক জয়ী চীনের স্বর্ণপদক সংখ্যা ৩৯টি। যেখানে মার্কিনিদের সোনার পদক ৩৮টি। অপরদিকে ১৮টি স্বর্ণসহ ৫০টি পদক নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমান স্বর্ণসহ ৪৩টি পদক নিয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে জাপান। আর স্বাগতিক ফ্রান্স আছে টেবিলের পঞ্চম স্থানে। ১৬টি স্বর্ণসহ তাদের পদক ৬২টি।