নামতে নামতে দেশের ফুটবল কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। এঔন ফিফা উইন্ডোতে খেলার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দলকেও পাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ভুটানকে পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচটি খেলার পর আর মাঠে নামেনি জাতীয় ফুটবল দল। আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট না থাকায় স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও ছুটিতে গিয়েছিলেন। ফিরেছেন দুদিন আগে। কাবেরার লক্ষ্য এখন সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলা। ২ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ফিফার উইন্ডো। হাতে সময়ও কম। এ সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষ ঠিক করতেই পাগলপ্রায় অবস্থান বাফুফের। প্রীতি ম্যাচ খেলতে ইতোমধ্যে নেপাল, ভুটানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেই চিঠি চালাচালি করছে তারা। সেপ্টেম্বর উন্ডোর ম্যাচ দুটি ঘরের মাঠে খেলার পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। তবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কোনো দেশের আসাও অনিশ্চিত। তাই বাংলাদেশ এখন অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভুটান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফের আলোচনা বেশ এগিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে ভুটানের বিপক্ষেই দুই ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, 'আগামী বছর মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাই টুর্নামেন্ট রয়েছে। প্রতিপক্ষ এখনো জানা যায়নি। ফিফার্ যাংকিং অনুযায়ী বাছাইয়ের মাধ্যমে ড্র হবে ১৯ ডিসেম্বর। নভেম্বরেরর্ যাংকিং বিবেচনা করা হবে ড্রয়ের সময়। তাই আমাদেরর্ যাংকিং বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলে সহজ প্রতিপক্ষ পাব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার।'
তিনি যোগ করেন, 'আমরা যে কয়টি দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছি তার মধ্যে ভুটানও আছে। এখনই বলা যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত কোন দলকে পাব। তবে এতটুকু বলা যায় আমরা নিজেরা ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছি। যে দেশের বিপক্ষেই খেলি সেখানে গিয়ে খেলব।' এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ২৪ দেশ ছয় গ্রম্নপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন দল এবং আগে যোগ্যতা অর্জন করা ২৪ দল খেলবে ২০২৭ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রম্নয়ারি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে।