রাজনীতি করতে চাইলে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে করা উচিত : সোহান
প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। সেই তালিকায় রয়েছেন দেশের সেরা দুই ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানও। ক্রিকেটে থাকাকালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই মাশরাফির বাড়ি পুড়িয়ে এবং সাকিবের একটি রাজনৈতিক অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কোণঠাসা অবস্থায় আওয়ামী লীগ। ভেঙে গিয়েছে সংসদও। আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। এবার মুখ খুললেন ক্রিকেটারদের রাজনীতি নিয়েও। আহ্বান করেন ক্রিকেট আর রাজনীতি একসঙ্গে না চালানোর। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে চলতি বছর আবারও নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। একইভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসানও। ক্রিকেটে থাকাকালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে এখনো। তাই রাজনীতি এবং ক্রিকেট একসঙ্গে না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সোহান বলেন, 'সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনো উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সে রকম সময় দেওয়া কঠিন। কারও যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।' এ ছাড়া ক্রিকেট বোর্ডে যোগ্য ব্যক্তিদের সুযোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, 'ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিগতদের বোর্ডে না আসাই ভালো।' এদিকে নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদের দায়িত্ব নেওয়ার পর আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ বিসিবির সভাপতির পদ থেকে এখনো পদত্যাগ করেননি নাজমুল হাসান পাপন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। তবে ক্রিকেট বোর্ডে হুট করেই পরিবর্তন আনতে চায় না নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা। কারণ এখানে আইসিসির কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।