শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
দলবদলে অনিশ্চয়তা

এএফসিকে পরিস্থিতি জানিয়েছে বাফুফে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
প্যারিস অলিম্পিকে ছেলেদের ফুটবল ডিসিপিস্ননে সোনার লড়াইয়ে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করায় উচ্ছ্বসিত স্পেনের খেলোয়াড়রা - ওয়েবসাইট

ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে ১ জুন থেকে। আগামী ১৯ আগস্ট শেষ হতে যাচ্ছে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের সময়। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভু্যথানের জেরে এরই মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি ক্লাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় তারা নির্ধারিত সময় দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সারতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এরই মধ্যে বাফুফেকে মৌখিকভাবে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিষয়টি এএফসিকেও জানিয়েছে বাফুফে।

যদিও কাগজ-কলমে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগেই ক্লাবগুলো একরকম দল গুছিয়েই নেয়। এরই মধ্যে দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস দল প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে অন্যান্য শীর্ষ ক্লাবগুলোও ব্যস্ত দল গোছাতে। তবে ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হওয়া ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ফর্টিস এফসির নির্ধারিত সময় দলবদল সম্পন্ন করা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাতে সময় বাকি মাত্র আট দিন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চাইলেও দলবদলের সময় খুব বেশি বাড়াতে পারবেও না। এমন পরিস্থিতিতে কোন পথে হাঁটবে বাফুফে? পূর্ব নির্ধারিত সময়ই দলবদল শেষ হবে? নাকি ক্লাবগুলোর কথা বিবেচনা করে সময় বাড়ানো হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেছেন, 'ফিফা ও এফসির নিয়ম অনুযায়ী ট্রান্সফার উইন্ডো হবে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ। আমরা উইন্ডো ঘোষণা করেছি ১১ সপ্তাহ ২ দিনের, যা শেষ হবে ১৯ আগস্ট। আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দুটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনা মৌখিকভাবে জানিয়েছি এএফসিকে।'

এএফসির নিয়মের মধ্যে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হলে বাফুফে সর্বোচ্চ ৫ দিন সময় বাড়াতে পারবে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'আমরা পুরো বিষয়টা এএফসিকে লিখিতভাবে জানাব এবং আমাদের করণীয় কি, সেটা জানতে চাইব। তাদের মতামত ছাড়া এখন দলবদলের সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। আমরা ক্লাবগুলোর সুবিধার্থে যা করা দরকার, সেই চেষ্টা করছি।'

লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ক্লাবের সব ধরনের কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কর্মকর্তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করতে না পারা পর্যন্ত অর্থকড়ির সংকটেও থাকবে আবাহনী ও শেখ জামাল ক্লাব। ফুটবল দল তৈরির জন্য কোটি কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অবস্থায় এই দুই ক্লাবের জন্য খেলোয়াড়দের অগ্রিম পারিশ্রমিক দিয়ে দলে নেওয়াও কঠিন। যে কারণে তৈরি হয়েছে দলবদল নির্ধারিত সময় শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। হাতে মাত্র আট দিন। এই অল্প সময়ের মধ্যে সাবেক এই দুই চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন সম্ভব কিনা, তা জানতে আবাহনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, 'আমরা বাফুফেকে মৌখিকভাবে শুধু দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছি। এখন আমরা বাফুফের দিকেই তাকিয়ে আছি। ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। আমরা শুধু স্থানীয় ফুটবলাদের নিবন্ধন করিয়েছি এখন পর্যন্ত।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে