প্যারিস অলিম্পিকে শেষভাগে এসে দেশের দীর্ঘদিনের শূন্যতা কাটালেন আরশাদ নাদিম। বর্শা নিক্ষেপে ভারতের গতবারের চ্যাম্পিয়ন নিরাজ চোপড়াকে হারিয়ে, অলিম্পিকের রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন পাকিস্তানের এই অ্যাথলেট। অলিম্পিকে এই প্রথম অ্যাথলেটিকসে সোনার পদক পেল পাকিস্তান। তবে নাদিমের এই সাফল্য সহজে আসেনি। অনেক অধ্যাবসায়, দৃঢ়তার ফসল এটি। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে একটা সময় জ্যাভেলিনও কিনতে পারেননি।
দ্বিতীয় নিক্ষেপে ৯২.৯৭ মিটার দূরে বর্শা ছুড়ে রেকর্ডটি গড়েন নাদিম, সবসময়ের তালিকায় তার এই কীর্তি ছয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। চোপড়ার শেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতেই, বসে পড়ে মাটিতে চুমু খেয়ে বিজয় উদযাপন করেন নাদিম। টোকিও অলিম্পিকসে তিনি পঞ্চম হয়েছিলেন, তবে উন্নতির ধারাবাহিকতায় গত বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপার পদক জয় করেন নাদিম। অলিম্পিকের লড়াইয়ে এবারও সোনার পদক ধরে রাখার সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিলেন চোপড়া। কিন্তু প্রায় পুরোটা সময় ভুগতে দেখা গেল তাকে। প্রথম পাঁচ প্রচেষ্টায় ফাউল করার পর, শেষবার ৮৯.৪৫ মিটার ছুড়ে জেতেন রুপা। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স ৮৮.৫৪ মিটার ছুড়ে জিতেছেন ব্রোঞ্জ।
৩২ বছর পর পাকিস্তান অলিম্পিকে পদক পেলো, ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা গেমসে হকির ব্রোঞ্জের পর এবার পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতলেন নাদিম। পাকিস্তানের ক্রীড়া ইতিহাসে লিখলেন নতুন ইতিহাস। ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিতে শেষবার পাকিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বক্সার হুসেন শাহ। আর ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে হকিতে শেষবার সোনা জিতেছিল পাকিস্তান। নীরাজের স্বপ্ন ভেঙে ৪০ বছর পর পাকিস্তানকে সোনা এনে দিলেন আরশাদ নাদিম।