যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসিফ মাহমুদ
প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ১৬ জন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হয়। এই উপদেষ্টাদের মধ্যে ১৩ জন শপথও নেন। তবে ঢাকার বাইরে থাকায় তিনজন শপথ নেননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আন্দোলনের সময় সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব দেখা গেছে তাকে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আন্দোলনকারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আসিফ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পস্ন্যাটফর্ম 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'র সমন্বয়ক থেকে 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা' হয়েছেন তিনি। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়া উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশন, বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশন, আরচ্যারি ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনসহ অন্যান্য সংগঠন।
আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিলস্নার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. বিলস্নাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের পস্নাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আসিফ 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি'র কেন্দ্রীয় নেতা। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে দলটি।
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, আসিফ মাহমুদের জন্ম ১৯৯৮ সালে। অর্থাৎ তার বয়স ২৬ বছরের আশপাশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত কম বয়সে আর কেউ কোনো সরকারের উপদেষ্টা হতে পারেননি। শুধু তাই নয়, এভাবে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কারো অন্তর্বর্তীকালীন কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনেরও নজির নেই।