সদ্য শেষ হওয়া ভারত-শ্রীলংকা সিরিজে চলেছে স্পিনারদেরই রাজত্ব। ভারতের হারানো ৩০ উইকেটের মাত্র তিনটিই গেছে লঙ্কান পেসারদের ঝুলিতে। স্পিনারদের বদৌলতে অনুমিতভাবে দুটি রেকর্ডও হয়েছে। যে দুটি রেকর্ডেই জড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ মিলিয়ে লঙ্কান স্পিনারদের নেওয়া ২৭ উইকেটে হয়েছে একটি রেকর্ড। কোনো দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে একটি দলের স্পিন বিভাগের আগে এত বেশি উইকেট নিতে পারেনি।
চার অথবা তার কম ম্যাচের সিরিজ সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট পেয়েছিলেন স্পিনাররা। একবার নয়, দুবার তা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশিদের কল্যাণে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও সমপরিমাণ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা। টাইগারদের দুটি সিরিজেই অবশ্য খেলা হয়েছিল চার ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে লেগ স্পিনার জেফরি ভ্যান্দারসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন। দুনিথ ওয়েলালাগে পেয়েছেন ৭টি উইকেট। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ঝুলিতেও ঢুকেছে ৬ উইকেট। একটি করে ম্যাচ খেলা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহিশ থিকশানা নিয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ২ উইকেট। ধনঞ্জয়া দি সিলভা লঙ্কান স্পিন উৎসবে সামিল হয়েছেন এক উইকেট নিয়ে।
লঙ্কানদের সঙ্গে ভারতীয় স্পিনারদের ১৬ উইকেট যোগ করলেও পাওয়া যায় আরেকটি রেকর্ড। দুই দলের স্পিনাররা মিলে আদায় করে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। ওয়ানডেতে এক সিরিজে স্পিনে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের ঘটনা এটি। সর্বোচ্চ চার ম্যাচের সিরিজগুলোতে আর মাত্র একবার ৪০ উইকেট ঢুকেছে স্পিনারদের পকেটে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার চার ম্যাচের সিরিজে ব্যাটাররা ৪০টি উইকেট খুইয়েছিলেন স্পিন বোলিংয়ে।
বুধবার ১১০ রানে তৃতীয় ওয়ানডে জয়ের মাধ্যমে রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছেন আসালাঙ্কারা। ভারতের বিপক্ষে শ্রীলংকার ওয়ানডে সিরিজ জয় এসেছে ২৭ বছর পর। এ কারণে কলম্বোর স্পিন-স্বর্গে হওয়া এই সিরিজ আলাদাভাবে মনে রাখবে লঙ্কানরা। পাশাপাশি ক্রিকেটবিশ্বে স্পিনের দাপটের পরিচয়ও বহন করবে সিরিজটি।