অলিম্পিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়া লাইলস। ৯ দশমিক ৭৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন বিশ্বের নতুন দ্রম্নততম মানব হয়েছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সি এই তারকার সোনা জয়ে অলিম্পিকসের পদক তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার স্তাদ দ্য ফ্রাঁসের ট্র্যাকে মিলি সেকেন্ডের ব্যবধানে দ্বিতীয় হন জ্যামাইকার কিশানে থমসন, ৯ দশমিক ৮১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে ব্রোঞ্জ পান যুক্তরাষ্ট্ররই ফ্রেড কার্লি। অলিম্পিকের সবচেয়ে বেশি চোখ থাকে এই ইভেন্টকে কেন্দ্র করে। অথচ সময়ের বিচারে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের স্থায়িত্ব ১০ সেকেন্ডের কম। ফলাফল পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না কখনোই। তবে এবার সেই ফল পেতে সময় লাগল ৩০ সেকেন্ডের বেশি। আর তারপরেই জানা গেল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ১০০ মিটার স্প্রিন্টের দেখা মিলেছে প্যারিসে। ফটো ফিনিশে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণার আগে দুজনেরই টাইমিং দেখানো হয়েছিল ৯.৭৯ সেকেন্ড। এরপরের ৩০ সেকেন্ডের অপেক্ষা। ফটো ফিনিশে বিজয়ী ঘোষণার পর দেখা যায় লাইলস সময় নিয়েছেন ৯.৭৮৪ সেকেন্ড আর টম্পসনের সময় লেগেছে ৯.৭৮৯ সেকেন্ড। ৯৯ মিটার পর্যন্ত এগিয়ে থাকা টম্পসনকে শেষ ১ মিটারে পরাজয়ের স্বাদ দিলেন লাইলস। লাইলসের সোনা জেতায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ২০ বছর পর সোনা জিতল যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৪ সালে জাস্টিন গ্যাটলিনের পর যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে এই ইভেন্টে দাপট দেখাতে থাকে জ্যামাইকা। বলা ভালো উসাইন বোল্ট। কিংবদন্তি এই দৌড়বিদ ২০০৮ থেকে ২০১৬ টানা তিনবার জেতেন সোনা। বোল্টের অবসরের পর পিছিয়ে যায় জ্যামাইকা। তবে এবার কিশানেকে নিয়ে আশা ছিল তাদের। তিনি লড়েছেনও দারুণ। অল্পের জন্য হতে পারেননি সেরা। দর্শকে ভরপুর স্টেডিয়াম। এমন সময় দৌড় শুরুর আগে সব বাতি নিভিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ আলোয় একে একে বের হন প্রতিযোগীরা। বিপুল উৎসাহে পরে শুরু হয় খেলা। তাতে বাজিমাত করেন লাইলস। অ্যাথলেটিকসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই ইভেন্টের অলিম্পিক ও বিশ্ব রেকর্ড দুটিই কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের গড়া। ২০১২ লন্ডনে ৯ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি গড়েছিলেন অলিম্পিক রেকর্ড। অপরদিকে, ২০০৯ সালে বার্লিনে এই ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডের টাইমিং ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড গড়েন বোল্ট। রেস শেষের পর নোয়াহ লাইলসের বক্তব্যেই প্রকাশ পায় তার আকুতি, 'এই পদকটা আমি চেয়েছি, কী কঠিন লড়াই হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিরাও অবিশ্বাস্য ছিল। সবাই প্রস্তুত হয়েই এসেছিল আর আমি শুধু এটিই প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম তাদের সবার মধ্যে আমি সেই মানুষ, নেকড়ের মধ্যে আমিই সেই নেকড়ে।'