বাফুফে চাইলে ডিসেম্বরে চুক্তি শেষের পরেও নারী দলের সঙ্গে থাকতে চান পিটার বাটলার। তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ব্রিটিশ কোচ। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও ইতিবাচক তিনি। বসুন্ধরা কিংসকে উদাহরণ হিসেবে দেখছেন বাটলার। শুধু একটি ক্লাব হিসেবে নয় বরং দেশের ফুটবল চিত্রে বেশ কিছু পরিবর্তনসহ তাদের দূরদর্শী পরিকল্পনা বাকিদের জন্য উদাহরণ হিসেবে দেখছেন ব্রিটিশ কোচ।
গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের নারী দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন যারা তাদের মধ্যে গোলাম রব্বানী ছোটন ছাড়া কেউই সেভাবে থিতু হতে পারেননি এই পদে। ২০০৯-১৪ পর্যন্ত নারী দলের দায়িত্বে ছিলেন ছোটন। সে বছরের শেষ দিকে কয়েক মাসের জন্য জাপানিজ কোচ নোরিওকে দায়িত্বে দেয়া হলেও আবারো ২০১৫ সালে দায়িত্বে ফেরেন ছোটন। এরপর টানা ৯ বছর নারী দলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের শেষের দিকে সাইফুল বারী টিটুকে দায়িত্ব দেয়া হলেও এরপর আনা হয় ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারকে।
চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন এই ব্রিটিশ কোচ। ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের ক্লাব এবং জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও বেশ ইতিবাচক অভিজ্ঞ এই কোচ। উদাহরণ হিসেবে টানছেন বসুন্ধরা কিংসকে, 'আমরা জানি, বসুন্ধরা কিংসের মতো ক্লাব এখন বাংলাদেশে রয়েছে। ওরা অসাধারণ। ওরা শুধু একটি ক্লাব হিসেবে কাজ করছে না। ওরা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প ও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অবকাঠামোতে তারা যে সুযোগ-সুবিধা এবং বিনিয়োগ করছে তা দেখে খুব ভালো লাগছে। এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ অনেক ভুগছে।'
ডিসেম্বর পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে চুক্তি আছে পিটার বাটলারের। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারো নতুন করে চুক্তি নবায়ণ করবেন কিনা এ বিষয়ে বেশ ইতিবাচক বাটলার। নতুন চুক্তি করতে কোন আপত্তি নেই তার।
বাটলার বলেন, 'এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। আমি একজন অভিজ্ঞ কোচ, সুতরাং লোকেরা আমাকে নিতে চায়। সত্যি বলতে এই চাকরি আমাকে প্রভাবিত করে না বরং আমি প্রকল্পে বেশি বিশ্বাস করি। যেখানে আমি ইম্পেক্টফুল কিছু করতে পারব। ডিসেম্বরে আমার চুক্তি শেষ হবে, এটা সাধারণ বিষয়। আমি বিষয়গুলো বুঝি। যদি এটি দীর্ঘ করার কথা আসে, তাহলে আমরা এ বিষয়ে বসে কথা বলব। তবে আমি একজন বাস্তববাদী মানুষ এবং আমি বাস্তব জগতে বাস করি।'
ডিসেম্বরে বাটলারের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর কি সিদ্ধান্ত নেবে বাফুফে তা তো এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন দেখতে চান এই ব্রিটিশ কোচ। সে জন্য ফেডারেশনকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন বাটলার। ব্যক্তি স্বার্থ নয় বরং দেশের নারী ফুটবলের কথাই বেশি ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেন এই কোচ।