দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে দারুণ ফিরে আসার গল্প লিখেছিলেন কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। এবার ব্যক্তিগত ইভেন্টেও ঝলক দেখিয়ে ফের সোনা জিতেছেন তিনি। অলিম্পিকে এটি তার নবম পদক। জিমন্যাস্টিকসে বাকিদের চেয়ে তাতে অনেক অনেক উঁচুতে চলে গেলেন তিনি।
আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে মেয়েদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে আছে চারটি রাউন্ড-ভল্ট, আনইভেন বারস, ব্যালান্স বিম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ। বাইলস শুরু করেন ভল্ট দিয়ে। সেখানে তিনি করেন ১৫.৭৬৬ স্কোর, বারসে করেন ১৩.৭৩৩, ব্যালান্স বিমে ১৪.৪৬৬ স্কোর। তিন রাউন্ডের পর শীর্ষে ওঠে যান। ফ্লোর এক্সারসাইজের নিশ্চিত করেন সোনার পদক।
'রে-বে-কা, রে-বে-কা', ব্রাজিলিয়ান জিমন্যাস্টকে নিয়ে তাদের সমর্থকরা এই স্স্নোগানে গ্যালারি মাতিয়েছিলেন, কিন্তু সিমোন বাইলসের বিপক্ষে পেরে ওঠেননি রেবেকা আন্দ্রেদে। ব্রাজিলের রেবেকা ৫৭ দশমিক ৯৩২ স্কোর নিয়ে রুপা ও বাইলসের স্বদেশি সুনিসা লি ৫৬ দশমিক ৪৬৫ স্কোর গড়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। প্যারিস অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকস ইভেন্টে আবারও সোনার হাসি হেসেছেন বাইলসই। দু'দিন আগে দলগত জিমন্যাস্টিকসে সোনার পদক জেতেন বাইলস। টোকিও অলিম্পিকের দুঃস্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে প্যারিসে এসে পান প্রথম সাফল্যের স্বাদ।
আর সেই সুর এবার বাইলস টেনে নিলেন অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে। ৫৯ দশমিক ১৩১ স্কোর গড়ে হাসলেন বিজয়ীর হাসি। এ নিয়ে চলতি অলিম্পিকে দু'টি সোনা জিতলেন তিনি। সব মিলিয়ে অলিম্পিকসে তার সোনার পদক দাঁড়াল ৬টি। রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে ৪টি সোনা জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই গ্রেট জিমন্যাস্ট।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবিশ্বাস্যভাবে ২৩টি সোনা জয়ের কীর্তি তার আছে। অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে তার মোট পদক এখন ৩৯টি। ২৭ বছর বয়সি এই মার্কিন জিমন্যাস্ট আরেকটি পাতায় নিজের নাম তুলেছেন। তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকের অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে দু'টি সোনা জিতে তিনি বসেছেন ভেরা কাসলাভস্কা ও লারিসা লাতিনিনার পাশে।
অবশ্য ভেরা ও লাসিরা ব্যাক-টু ব্যাক অলিম্পিকের আসরে জিতেছিলেন, সেখানে বাইলস জিতলেন এক আসর পর। রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকস মাতানোর পর টোকিওতে এসে দলগত ইভেন্টে ভল্টে এসে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশায় নিজেকে আসর থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাইলস। সেই হতাশার স্রোত পেরিয়ে প্যারিসে এসে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ব্রাজিলের রেবেকা ৫৭ দশমিক ৯৩২ স্কোর নিয়ে রুপা ও বাইলসের স্বদেশি সুনিসা লি ৫৬ দশমিক ৪৬৫ স্কোর গড়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।