শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, ক্রিকেট দুনিয়ায় অমর এক কিংবদন্তির নাম ক্লাইভ লয়েড। ক্রিকেটের ময়দান পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চেও যিনি উড়িয়েছেন ক্যারিবীয় পতাকা। সেই লয়েডকে এবার দারুণ এক সম্মাননায় ভূষিত করল কনফারেন্স অব দ্য হেডস অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ক্যারিকম)। ক্যারিবীয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মাননা অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ওসিসি) পুরস্কার পেলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড।
ক্যারিকমের ৪৭তম নিয়মিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লয়েডকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে সম্মাননা গ্রহণ করেন লয়েড। এ সময় তিনি বলেন, 'আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে এবং আমাকে অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমার কাজের
এই স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।'
আর এমন সম্মাননা লয়েডের প্রাপ্য। সেটা কেন, তা জানিয়ে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি কিশোর শ্যালো বলেন, 'এই সম্মান তার জন্য খুবই উপযুক্ত, যিনি শুধু ক্রিকেট মাঠেই আনন্দের চূড়ান্ত উদাহরণ মেলে ধরেননি, বরং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ও গোটা বিশ্বের জন্যই অনুপ্রেরণার এক স্তম্ভ। ক্রিকেটের প্রতি স্যার ক্লাইভের নিবেদন ও
\হখেলাটির উন্নতিতে তার অবদান অতুলনীয়।'
বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিত গড়ে ওঠার মূল কারিগর ধরা হয় লয়েডকে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১০ টেস্টে ১৯ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৬৭ গড়ে ৭ হাজার ৫১৫ ও ৮৭ ওয়ানডে খেলে রান ৩৯.৫৪ গড়ে ১ হাজার ৯৭৭ রান করেছেন লয়েড। ক্রিকেটার হিসেবে বাদ দিলেও লয়েড কিংবদন্তি হয়ে
থাকবেন তার নেতৃত্বের জন্য।
তার নেতৃত্বেই ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জয় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে তার সেই ৮২ বলের বিধ্বংসী ইনিংসেই ধরা দেয় বিশ্বকাপ। তার সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে রাজত্ব করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক পর্যায়ে টানা ১১ সিরিজ জয় ও টানা ২৭ সিরিজে অপরাজেয় ছিল ক্যারিবীয়রা।
\হখেলোয়াড়ি জীবনের বাইরেও সমান সফল লয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যানেজার, কোচ ও নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন। আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তার কীর্তির জন্য ২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে। ২০২২ সালে দেওয়া হয় 'নাইটহুড' উপাধি।