দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (সিসিবি) যোগ দিয়েছিলেন রিচার্ড স্টনিয়ার। তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে তিনি 'পাগলা' নামে ছিলেন পরিচিত। ২০২০ সালে যুব দলের বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনে অনেক বড় অবদান ছিল তার। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন বিসিবিতে। এরপর পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে যান। আবার নতুন করে যুব দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন স্টনিয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে রিচার্ড স্টনিয়ার পরিচিত 'পাগলা' হিসেবে। যুব দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে ২০১৮ সালে যোগ দিয়েছিলেন। মাত্র দুই বছরে সবার মন জয় করে নেন তিনি। অভিনব ফিটনেস ট্রেনিং, দলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অভাবনীয় ক্ষমতা এবং ছেলেদের চাঙা রাখার বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলে স্টনিয়ার ছিলেন অনন্য। দল থেকেই তাকে নাম দেওয়া হয় 'পাগলা'। আর তার সব ট্রেনিংকে বলা হতো 'পাগলামি'। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ স্টনিয়ারকে ফিরিয়েছে বিসিবি। দুই বছরের জন্য তার সঙ্গে আবারও চুক্তি করা হয়েছে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্টনিয়ারকে ফেরানোর ব্যাপারে আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেছেন, 'হঁ্যা স্টনিয়ারকে ফেরানো হচ্ছে। আগস্টের ৩ তারিখ ঢাকায় এসে পৗঁছাবে। দুই বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে আমাদের পুরনো একজন কোচ। আমরা আবারও তাকে ফিরিয়েছি। আশা করছি আগের মতোই পুরনো জৌলুস নিয়ে কাজ করতে পারবে।' স্টনিয়ারের পাশাপাশি ২০২০ সালের বিশ্বকাপজয়ী কোচ নাভিদ নাওয়াজকে ফিরিয়েছে বিসিবি। এদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে সন্দীপ কুমার রমালকে। স্টনিয়ারের সঙ্গে রমালও খুলনায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে আগামী সপ্তাহে যোগ দেবেন। ৩৯ বছর বয়সি এই ইংরেজ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। খেলোয়াড়দের দৈনন্দিন জীবন ছকে বেঁধে দেওয়াকে তিনি নিয়েছেন নিজের পেশা হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল, অ্যাথলেটদের নিয়ে কাজ করেছেন স্টনিয়ার। অনলাইনেও তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। তার অনলাইন ক্লাসের ফি মাত্র ৯৯ ডলার। এই অর্থটাও তিনি নিজের জন্য ব্যয় করেন না। যে অর্থ তিনি নিচ্ছেন, সেটা মায়ের নামে খোলা দাতব্য চিকিৎসা ও সেবাকেন্দ্রে ব্যয় হয়। তার মা ডিয়ানে ২০১৩ সালে ক্যানসারে মারা যান। সেই থেকে তিনি ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছেন।