গর্ভবতী অবস্থায় অলিম্পিকে লড়ে আলোচনায় মিশরের নাদা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে প্যারিস অলিম্পিকে ফেন্সিংয়ে লড়লেন মিশরের নাদা হাফেজ -ওয়েবসাইট
প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই থমকে গেলেন নাদা হাফেজ। তার তৃতীয় অলিম্পিক অভিযান শেষ হয়ে গেল দুই ম্যাচেই। তবে আসল চমক উপহার দিলেন তিনি বাদ পড়ার পর। মিশরের এই ফেন্সার যা জানালেন, তাতে আসলে সব ফলাফল ছাপিয়ে জিতে গেছেন আগেই। এবারের অলিম্পিকের লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি সাত মাসের গর্ভাবস্থায়! ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকসে অংশ নেওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার প্যারিসেও আসেন নাদা।র্ যাংকিংয়ে ৪১ নম্বরে থাকা এই ফেন্সার প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেন সাত নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে। পরে শেষ ষোলোয় তিনি হেরে যান কোরিয়ার জন হাইয়ংয়ের কাছে। 'আপনারা এখানে পোডিয়ামে দুজনকে খেলতে দেখেছেন, আসলে ছিল তিনজন। আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও আমার পৃথিবী যে এখনো দুনিয়ায় আসতে বাকি, আমার ছোট বাচ্চা।' প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে এমন এক পোস্ট দেন মিশরের ফেন্সার নাদা হাফিজ। নাদা পেশায় একজন চিকিৎসক। এবার অলিম্পিকে তিনি এসেছিলেন গর্ভবতী অবস্থায়। পেটে ছিল সাত মাসের সন্তান। টানা তৃতীয় অলিম্পিক খেলতে নামা নাদা নিজের প্রথম ম্যাচে বিশ্বের দশম তারকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারান। তবে শেষ ষোলোয় উঠে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের সঙ্গে হেরে যান তিনি। এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন নাদা হাফেজ। প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে কাল নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাদা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি; হেরে যান ১৫-৭ পয়েন্টে। হারের পর হাত নেড়ে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগঘন হয়ে পড়েন এই মিশরীয়। জানান এবার লড়াইয়ে তার জন্য অন্যরকম গর্বের ব্যাপার ছিল, 'এই অলিম্পিক আমার জন্য ভিন্ন, তিনবারের অলিম্পিক হিসেবে এসেছিলাম ছোট্ট অলিম্পিয়ানকে পেটে নিয়ে।' ২০১৬ ও ২০২১ অলিম্পিকেও অংশ নেন নাদা। এবার অলিম্পিকে সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থায় অংশ নেওয়া যে কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল সেটাও তিনি জানান আবেগঘনভাবে, 'প্রেগনেন্সির এই রোলারকোস্টার বেশ কঠিন যাত্রা। জীবনের এই চ্যালেঞ্জ ও খেলাধুলা সব ভারসাম্য রাখার লড়াই অনেক তীব্র ছিল। আমি ভাগ্যবান আমার স্বামী ও পরিবারের আস্থা অর্জন করে এতদূর আসতে পেরেছি।'