বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

তিন দেশের হয়ে তিন অলিম্পিক

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
তিন দেশের হয়ে তিন অলিম্পিক

'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত অলিম্পিকে অংশ নেয় প্রায় বিশ্বের সব দেশ। প্রতিটি অ্যাথলেট প্রতিনিধিত্ব করে নিজ দেশের। তবে একই অ্যাথলেটের দুই দেশের হয়ে খেলার নজির আছে। তবে ব্যতিক্রম ইয়ামিল আলদামার। এই অ্যাথলেট তিন দেশের হয়ে তিনটি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বয়স আর চোট ঝামেলা না করলে আরও দু-একটি দেশের হয়ে তিনি খেলতে পারতেন। যদিও তা সম্ভব হয়নি।

ইয়ামিল সাবেক ট্রিপল জাম্পার। কীভাবে বার বার দেশ পরিবর্তন করে অলিম্পিকে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ামিল, তা এক বড় রহস্যই। লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবায় জন্ম ইয়ামিলের। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে কিউবার হয়ে তিনি প্রথম অংশগ্রহণ করেন। ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে খেলেন সুদানের হয়ে। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ইয়ামিলের হাতে ছিল গ্রেট ব্রিটেনের পতাকা। যদিও তিন অলিম্পিকে কোনো পদক জিততে পারেননি। তবে নজর কেড়েছিলেন পারফরম্যান্সে। ট্রিপল জাম্পার হিসেবে ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল ইয়ামিলের। কিন্তু চোটের কারণে অংশ নিতে পারেননি। ২০০০ সালে কিউবার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ট্রিপল জাম্পে অল্পের জন্য পদক বঞ্চিত হন তিনি। তার যাত্রা শেষ হয় চতুর্থ স্থানে থেমে। ২০০১ সালে স্কটিশ টিভি প্রযোজক অ্যান্ড্রু ডডসকে বিয়ে করেন ইয়ামিল। পরে মাদক সেবনের অভিযোগে অ্যান্ড্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০০৪ সালের অলিম্পিকে ব্রিটেনের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ইয়ামিল। কিন্তু পারেননি।

স্পেন, ইতালি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের তরফে ইয়মিলকে তাদের দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ইয়ামিল বেছে নেন সুদানকে। ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে উত্তর আফ্রিকার এই দেশের হয়ে খেলতে নেমে খেলা শেষ করেন পঞ্চম স্থানে থেকে। ২০১০ সালে ইয়ামিল পান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। দুই বছর পর লন্ডন অলিম্পিকে যোগ দেওয়ার সময় তার বয়স তখন ৪০। চোট থাকা সত্ত্বেও ট্রিপল জাম্পে তিনি পঞ্চম হয়ে সকলের নজর কাড়েন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে