এক সময় সোনালী অতীত থাকলেও ক্রিকেটে এখন ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে। এই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে অন্যরকম এক উদ্যোগ নিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে 'ভ্রমণ ফি' দেওয়ার প্রচলন ছিল। কিন্তু লম্বা সময় ধরে বন্ধ এই পদ্ধতি। তবে অনেক বছর পর হলেও ভ্রমণ ফি দেওয়ার প্রথা ফিরিয়ে আনছে ইসিবি। আগামী গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়েকে টু্যর ফি দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।
একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ২০২৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে যাবে জিম্বাবুয়ে। এই সফরের সম্পূর্ণ ভ্রমণ ফি (ইসিবি) ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বহন করবে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে আয়ের যে অসমতা, সেটি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ এই টু্যর ফি।
স্কাই স্পোর্টসে একটি আলোচনায় রিচার্ড গুল্ড বলেছেন, 'এটা অনেক বড় একটি দায়িত্বৃ। আইসিসির রাজস্ব বণ্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপক্ষীয় সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা, সত্যি বলতে এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরনো হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে আমাদের এখানে সফরে আসবে। এমনিতে সফরকারী দলের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদের ফি দেব।' দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্ষেত্রে সফরে যাওয়ার বিমান ভাড়াসহ আনুসঙ্গিক সব খরচ বহন করতে হয় সফরকারী বোর্ডকে। টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, টিকিট বিক্রিসহ যে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সবটুকু আয় আয়োজক বোর্ডের কোষাগারেই যায়। ফলে সফরকারী দল শুধু খরচই করে থাকে। এতে বিপদে পড়ে আর্থিকভাবে দুর্বল বোর্ডগুলো। সেই জায়গায় ইসিবি প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।