এবার কোপা আমেরিকায় ফাইনালের আগে সবচেয়ে ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়েছে কলম্বিয়া। ফাইনালেও বেশিরভাগ সময় দাপট দেখাতে পারছিল তারা। তবে অতিরিক্ত সময় লাউতারো মার্তিনেজের গোলে হারতে হয় তাদের। এত কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে না পারার হতাশা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খেলার মাঠের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ও ক্লান্তিকে দায় দিলেন কলম্বিয়া কোচ নেস্তর লরেঞ্জো।
ম্যাচ হারলেও ৫৬ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৯টি শট নেয় কলম্বিয়া। একটা বড় সময় মাঠের নিয়ন্ত্রণও নিতে দেখা যায় তাদের। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি।
এদিন কোপার ফাইনাল দর্শকদের হাঙ্গামায় তিন দফা পিছিয়ে শুরু নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর। ম্যাচের মধ্য বিরতিতে শাকিরার কনসার্টের জন্যও ছিল ২৫ মিনিটের বিরতি। লরেঞ্জো মনে করেন, এতে করে তাদের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়েছে। অনভিজ্ঞ দল হিসেবে বেশি ভুগেছে তারা, 'আমার মনে হয় আমরা খুব ভালো শুরুর আবহে ছিলাম। এরপর কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা শুরু হলো।'
'খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়রা ওয়ার্মআপ করল, স্থির হলো আবার ওয়ার্মআপ করল। এরপর হাফ টাইমে আবার ২৫ মিনিটের বিরতি। ফাইনালে যারা অনভিজ্ঞ, তাদেরই চিন্তাটা বেশি হয়। ফাইনাল খেলাটা সহজ ছিল না। ছেলেরা পুরো টুর্নামেন্টে শ্রম দিয়েছে। গত ২১ দিনে ছয়টা ম্যাচ খেলেছে।'
এই ব্যাপারে লরেঞ্জোর সঙ্গে একমত আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও। অব্যবস্থাপনার দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনিও, 'কী হয়েছে খেলার আগে ব্যাখ্যা করা কঠিন। বোঝাও কঠিন। স্টেডিয়ামের বাইরে খেলোয়াড়রা পরিবারের সদস্যদের জন্য অপেক্ষা করেছে। আপনার পরিবার কোথায় আছে না জেনে খেলতে নামা সহজ না।'
গোটা ম্যাচে দারুণ খেলেন কলম্বিয়ার দুই তারকা হামেস রদ্রিগেজ ও লুইস দিয়াজ। তবে অতিরিক্ত সময় তাদের বদলি করে দেন লরেঞ্জো। তিনি জানান, বদলি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ, প্রচন্ড গরমে পেশিতে টান পড়ছিল ফুটবলারদের, 'আমি নিশ্চিত করি, যতজন খেলোয়াড়কে বদলি করেছি, সবারই পেশিতে টান পড়েছে। দুই পায়েই। প্রত্যেকেই বদলি হওয়ার আর্জি জানাচ্ছিল।'
এবার টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ফাইনালে এসেছিল কলম্বিয়া। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সঙ্গে না পারলেও দলটির সুদিন দেখছেন লরেঞ্জো, 'আর্জেন্টিনা দারুণ এক প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমাদেরও সময় শুরু হলো। আশা করছি, পরের বারও ফাইনাল খেলব এবং বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করব।'