সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে ভারতের পাকিস্তান সফর

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
দিন যত যাচ্ছে, ততই জল ঘোলা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতের পাকিস্তান সফরের মেগা সিরিয়ালের। দুই দেশের গণমাধ্যমই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে। কখনো বিসিসিআই কিংবা আইসিসিকে বরাত দিয়েও ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব করেনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। শ্রীলংকা কিংবা দুবাইয়ে ভারতের ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাবের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে এখনো কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিসিআইয়ের এই কর্তা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম দাবি করে, এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে আইসিসির কাছে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব করেছে বিসিসিআই। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলংকা অথবা দুবাইয়ে আয়োজনের। এমন কি বলা হয়েছে, ভারত নাকি এরই মধ্যে পাকিস্তান সফরের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। চলমান উড়ো খবরগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিসিআই সহ-সভাপতি। তিনি তার বক্তব্যে উড়িয়ে দিয়েছেন বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো। রাজিব শুক্লা বলেন, 'আমি জানি না কোন সূত্র থেকে এ ধরনের খবরগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে। বিসিসিআই এখন কোনো ধরনের অফিসিয়াল বক্তব্য দেয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে।' ২০২৫ এর ফেব্রম্নয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। অন্যদেশগুলো সম্মতি দিলেও পাকিস্তান সফরের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে ভারত। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। যার কারণে বিসিসিআই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান সফরের আগে তাকিয়ে রয়েছে সরকারের দিকে। শুক্লা বলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান সফরের বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ সরকারের মুখাপেক্ষি। এ ব্যাপারে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমরা তাই করব। আমরা তখনই ভারত ক্রিকেট দল পাকিস্তানে পাঠাব যখন সরকার আমাদের অনুমতি দিবে।' বিষয়টি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিভ্রান্তি না ছড়াতে বললেন বিসিসিআই কর্তা। সবশেষ ২০০৮ সালে ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান সফর করেছে। আর ২০১৩ সালে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তান দল ভারত সফর করেছিল। তবে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়ে ছিলেন বাবর, রিজওয়ানরা। ভারত যদি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে সফর করে তাহলে দলের ক্রিকেটারদের জন্য হবে প্রথম সফর। আর নতুন কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রথম বিগ অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে ভারত যদি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে খেলতে না যায়, আর সূচি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ পাকিস্তানে বহাল থাকে, তাহলে টুর্নামেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নিতে হবে ভারতকে। আর তাতে কপাল খুলবে শ্রীলংকার। ভারত টুর্নামেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নিলে তখন সুযোগ পাবে শ্রীলংকা। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের শীর্ষ ৮ দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পেয়েছে। বিশ্বকাপে নবম দল ছিল শ্রীলংকা। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হতে যাচ্ছে একক আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট। এর আগে ১৯৯৬ ও ১৯৮৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলংকার সঙ্গে আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও শ্রীলংকা, ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাগতিক দেশ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো শ্রীলংকা, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।