স্পেনের জাতীয় দলের ভরসার প্রতীক ইয়ামাল
প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
লামিন ইয়ামালের বয়স মাত্র ১৭ বছর। তবে এত অল্প বয়সেই নিজের দিকে আলো কেড়ে নিয়েছেন এই স্প্যানিশ তরুণ। নিজের প্রথম ম্যাচেই ভক্তদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, কত বড় তারকা হতে যাচ্ছেন তিনি। চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করে নিজেকে চিনিয়েছেন বিশ্বমঞ্চে। চোখ ধাঁধানো গোলে চমকে দিয়েছেন পুরো ফুটবল বিশ্বকে। অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের ধারণা ছিল, ফুটবলার হিসেবে ইয়ামাল এখনো পরিপক্ব হননি। কিন্তু সে সব কথায় বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
ইয়ামালের জন্ম ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই স্পেনের মাটারা প্রদেশে শরণার্থী পরিবারে। তার বাবর বাড়ি মরক্কোর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মা আফ্রিকার ছোট্ট দেশ নিরক্ষীয় গিনির। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এই জায়গাতে এসেছেন ইয়ামাল। জীবনের প্রতিটি লগ্নেই মোকাবিলা করেছেন নানা রকম প্রতিকূলতা। হাজারও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এসেছেন স্পেনের জাতীয় দলে।
বার্সেলোনায় ২০১৪ সালে ইয়ামালের পরিবার স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে। সেখানে মাত্র ৭ বছর বয়সে তাকে ভর্তি করা হয় বার্সার ফুটবল একাডেমিতে। এরপর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে ইয়ামালের জীবন। এগিয়ে যেতে থাকেন রূপকথার সেই দিগন্তের দিকে। স্বপ্ন দেখতে থাকেন নিজের জীবনের আইডল মেসির মতো বার্সার প্রাণভোমরা হওয়ার। ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নকে
\হবাস্তবে রূপ দিতে শুরু করেছেন ইয়ামাল।
বর্তমানে স্পেনের জাতীয় দলের ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন ইয়ামাল। নিজের নামের প্রতি সুবিচার খুব ভালোভাবেই করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই জাত চিনিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা। বার্সার মূল একাদশে খেলে জাভি হার্নান্দেজের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। বার্সার পাশাপাশি স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬, ১৭, ১৯ সব দলের হয়ে খেলেছেন ১৬ বছর বয়সি এই উইঙ্গার।
২০২২ সালে স্পেনের কিংবদন্তি ফুটবলার ও তৎকালীন বার্সার কোচ জাভি হার্নান্দেজের চোখে পরেন এই ক্ষুদে ফুটবলার। এরপর জাভি তাকে সিনিয়র দলে অনুশীলনের সুযোগ করে দেন। লামিন ইয়ামাল নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের প্রথমে একজন পজিটিভ
\হস্ট্রাইকার ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি রাইট উনঙ্গার হিসাবে খেলছেন।
মাত্র ১৫ বছর ৯ মাস ১৬ দিন বয়সে বার্সার জার্সি গায়ে অভিষেক হয় ইয়ামালের। আর এই অভিষেকের পর নিজের নামের পাশে যুক্ত করেন একের পর এক কীর্তি। ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে সিনিয়র দলে খেলার নজির গড়ার পাশাপাশি গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। বাবা মরোক্কান এবং নিজে স্পেনের নাগরিক হওয়ায় ইয়ামাল চাইলে দুই দেশের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। এ ছাড়াও ইকুয়েটরিয়াল গিনির হয়েও চাইলে খেলতে পারেন তিনি।