প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশের অ্যাথলিটদের জন্য অলিম্পিক অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না কখনোই। লম্বা সময় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে লাল-সবুজদের পদচারণা থাকলেও, অর্জন আটকে আছে শিক্ষা সফরেই। তবে সম্ভাবনা বিবেচনায় অন্য যে কোনো আসরের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা আলাদা। অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। আর্চারির কোটা পেস্নস পাওয়া এবং শুটিংয়ে সরাসরি কোয়ালিফাইয়ের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় এই সম্ভাবনা দেখছেন লাল-সবুজ কন্টিনজেন্টের শেফ দ্য মিশন ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। এছাড়াও ভালো প্রস্তুতি হওয়ায় অ্যাথলেটিক্স \হনিয়েও প্রত্যাশা আছে তার। গেলবারের মতো এবারও অলিম্পিকে কোটা পেস্নস পেয়েছে আর্চারি। স্বাভাবকিভাবে তাই সাগর ইসলামকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সম্ভাবনার দারুণ গল্প আছে শুটিংয়ের রবিউল ইসলামকে ঘিরেও। সাগরের মতো তিনিও পেতে পারতেন কোটা পেস্নস। সেটা নিয়ে আক্ষেপে না পুড়ে বরং প্রত্যাশা রাখতে চায় বাংলাদেশ। শেফ দ্য মিশন বাংলাদেশের ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, 'শুটিং ও আর্চারির খেলার ধরনটা প্রায় একই। এটা একটা টেকনিক্যাল গেইম। সাহসটা যদি ঠিকমতো থাকতে পারে অবশ্যই ভালো খেলবে। আমিতো মনে করি আর্চারি ভালো করা উচিত।' সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের শুটিংয়ে সফলতা ঈর্ষণীয়। সেই মুকুটে যুক্ত হতে পারে আরও একটি পালক। যদিও অলিম্পিকের আগে শুটিং ফেডারেশনের প্রত্যাশা ছিল দেশের বাইরে ক্যাম্প করার। অর্থ সংকটে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। রেঞ্জে কিছুটা পরিবর্তন এনে বাংলাদেশেই নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, 'রবিউল যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তুত। তার যথেষ্ট ট্রেনিং হয়েছে। আমরা চাচ্ছি ও যেন ফাইনাল খেলতে পারে। ও যদি সেদিনে সাহসটা দেখাতে পারে, নার্ভাস না হয় আমার তো মনে হয় ভালোই রেজাল্ট করবে।' শুটিং আর্চারির পাশাপাশি অ্যাথলেটিক্সও সম্ভাবনাময়। এশিয়ার মঞ্চে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ইমরানুর। এবার অলিম্পিকের মঞ্চে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অপেক্ষা। ইংল্যান্ডে চলছে তার নিবিড় অনুশীলন। সেখান থেকেই দেশের দ্রম্নততম মানব ধরবেন প্যারিসের বিমান।