কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফর্ম্যান্স (এইচপি) বিভাগের ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের কার্যক্রম আজকে শেষ হলো। আগামী ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে তারা। সেখানে লাল বল ও সাদা বলের দুই সংস্করণের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ এইচপি। পুরো দলের সঙ্গে বুধবার বিসিবিতে বসেছিলেন হাই পারফর্ম্যান্স ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া সফরে বাংলাদেশের এইচপি দল অনেকগুলো ম্যাচ খেলবে। ডারউইনে পাকিস্তান শাহীনের বিপক্ষে চার দিনের দুটি ম্যাচ খেলবে। এরপর শুরু হবে পাকিস্তান শাহীনস, নর্দার্ন টেরিটোরি ও বাংলাদেশ এইচপির মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৯টি দল নিয়ে ৯ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত চলবে টি২০ টুর্নামেন্ট। সেমিফাইনাল, ফাইনালের আগ পর্যন্ত ২০ ওভারের ৬টি ম্যাচ খেলবে এইচপি। টুর্নামেন্টের ৯টি দল হলো পাকিস্তান শাহীনস, বাংলাদেশ এইচপি, নর্দান টেরিটোরি, পার্থ স্করচার্স, মেলবোর্ন রেনেগার্ডস, মেলবোর্ন স্টার্স, তাসমানিয়া, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ও এসিটি কোমেটস।
৩৫ দিনের সফর শেষে ১৩ আগস্ট দেশে ফেরার ফ্লাইটে চড়বে বাংলাদেশ এইচপি। প্রধান কোচ ছাড়াই ইতোমধ্যে চলছে তাদের ক্যাম্প। বাবার অসুস্থতায় শেষ মুহূর্তে ন্যাথান হেরিটজ আসতে না পারায় এই সফরে হেড কোচ করা হয়েছে কোরি কোলমোরকে। এইচপির এই সফরটিতে ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন দুর্জয়, 'আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। এখানে কিছু জাতীয় দলের খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২৭-এ আমাদের যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সফর আছে, ওই খেলাটাও কিন্তু ডারউইনে হবে। তাদেরও একটা প্রস্তুতি।'
ভবিষ্যতে এমন সফরসূচি রাখার পরিকল্পনা আছে বিসিবির। এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার, 'এইচপির প্রোগ্রামে প্রত্যেক বছরই একটা সফর থাকে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া, এটা নতুন একটা সংযোজন এবং আমরা তাদের (অস্ট্রেলিয়া) জানিয়েছি যে আমরা ভবিষ্যতেও এটা চালিয়ে যেতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা। যেন ক্রিকেটাররা সুযোগটা ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে পারে।'
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে ক্রিকেটাররা পায়ের নিচে মাটি পান না। অনেক ক্রিকেটার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করে টিকে থাকলেও বহু ক্রিকেটার আবার হারিয়ে যান। দুর্জয় মনে করেন এইচপি ক্যাম্পের মাধ্যমে অনুশীলনের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ধরনের সফরের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, 'আমাদের বয়সভিত্তিক পর্যায় পার হয়ে আসার পর আমরা কিছু প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত করেছি, যার মাধ্যমে ক্রিকেটাররা প্রসেসের ভেতর থাকে। পেস্নয়ারদের ঝরেপড়া বা উপরের দিকে কন্টিনিউ করতে না পারা, এটা কিন্তু আসলে দুই পক্ষের ব্যাপার। পেস্নয়ারের যেরকম অ্যাবিলিটি বা ইনজুরি সমস্যা হয়ে যায়, সেটা কিন্তু ভিন্ন ইসু্য। কিন্তু আমরা চাচ্ছি যে, আমাদের প্রসেসটা ঠিকঠাক হোক, আমাদের সুযোগ-সুবিধা বোর্ডের তরফ থেকে বৃদ্ধি করা এবং খেলার ভেতরে থাকার যে সুযোগ, সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই।'