২৯ জুন বাফুফে বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করেছিল। ফুটবলারদের বোনাস, বেতন বকেয়া থাকলেও নারী লিগের চার কাউন্সিলের জন্য ঠিকই প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করেছিল। বাফুফের কয়েকজন কর্মকর্তার চারটি ভোট নিশ্চিত হওয়ায় সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যেই এখন নির্বাচন নিয়ে নির্বাহী সভার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে।
১৩ জুলাই (শনিবার) বিকালে বাফুফে নিয়মিত নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হবে। চারটি আলোচ্যসূচি থাকলেও প্রধান আলোচনা নির্বাচনের দিন, ভেনু্য নির্ধারণ নিয়ে। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলে বাফুফের কয়েকজনের ইচ্ছা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অথবা শেষ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার। আবার কয়েক জন ৩ অক্টোবর মেয়াদ শেষের আগে নির্বাচন দিতে আগ্রহী নয়। শনিবারের সভায় মূলত ঠিক হবে কোনদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের দিন-ভেনু্য ঠিক করলেও নির্বাচন সংক্রান্ত বাফুফের নির্বাহী কমিটির আরো আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। জেলা, ক্লাব, সংস্থা থেকে কাউন্সিলর নাম চেয়ে চিঠি দেওয়া এবং সেই নাম আসলে নির্বাহী সভায় অনুমোদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। এই প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে না ১৩ জুলাই সভাতেই করবে সেটাই দেখার বিষয়।
বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৪ বছরের। ২০০৮-১৬ পর্যন্ত বাফুফের নির্বাচন এপ্রিল মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা মহামারি ছিল। এজন্য ফিফা বাফুফের তৎকালীন কমিটিকে ৬ মাস অতিরিক্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল। তাই ২০২০ সালের নির্বাচন অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে চতুর্থ সহ-সভাপতি পদে মহিউদ্দিন আহমেদ মহী ও তাবিথ আউয়াল সমান ভোট পেয়েছিল। তাদের পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। বাফুফের নির্বাহী কমিটি ২১ জনের। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, চার সহ-সভাপতি ও ১৫ জন নির্বাহী সদস্য। এই ২১ জন কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। গত বছর মার্চে সাবেক জাতীয় অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন নির্বাহী সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন। আগের মেয়াদে আরেক সাবেক অধিনায়ক শেখ আসলামও পদত্যাগ করেছিলেন। সেই পদত্যাগ নির্বাহী সভায় গৃহীত হয়নি। এবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মুনের পদত্যাগ নির্বাহী সভায় না তুলে গৃহীত করে নেন।
কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের সহ-সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন। সেই পদত্যাগ সুলতান-হেলাল কমিটি গ্রহণ করেনি।