সুইজারল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে সেমিতে ইংল্যান্ড

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে হারানোর পর ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট
সাদামাটা প্রথমার্ধের পর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে এগিয়ে গিয়ে ইতিহাস গড়ার আশা জাগায় সুইজারল্যান্ড। পরাজয়ের চোখ রাঙানি এড়িয়ে আরেকবার ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে একটি শট ঠেকিয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। সুইসদের আশা গুঁড়িয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ডুসেলডর্ফে শনিবার রাতে তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জেতে গত আসরের রানার্সআপরা। মূল ম্যাচে ব্রিল এমবোলো সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন বুকায়ো সাকা। পেনাল্টি শুটআউটে মানুয়েল আকনজির দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের পাঁচ শটের সবগুলোই যায় জালে। টানা দুটি ইউরোসহ এই নিয়ে পাঁচবার বড় টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ, ইউরো) কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিল সুইসরা। প্রথমার্ধে দুই দল কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ালেও উলেস্নখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি কেউ। কোনো গোলরক্ষককেও দিতে হয়নি পরীক্ষা, লক্ষ্যে যে শটই নিতে পারেনি কেউ! এই অর্ধের শেষ দিকে বক্সে কোবি মাইনোর শট প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সুইস অধিনায়ক গ্রানিত জাকা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে সুইজারল্যান্ড। ৫১ মিনিটে বক্সে ঢুকে কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট করেন এমবোলো। লক্ষ্যে কোনো দলের প্রথম শট এটি। দারুণ এক আক্রমণ থেকে ৭৫তম মিনিটে 'ডেডলক ভাঙে' সুইসরা। ডান দিক থেকে ফাবিয়ান শারের পাসে বলে পা ছোঁয়ালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস, দূরের পোস্টে সস্নাইডে জালে পাঠান সুইস তারকা ফরোয়ার্ড এমবোলো। ৮০ মিনিটে চমৎকার গোলে দলকে সমতায় ফেরান সাকা। ডেকলান রাইসের পাস ধরে একটু আড়াআড়ি এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে আর্সেনাল ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে শেষ ষোলোয় ২-০ গোলে হারানো সুইজারল্যান্ড যোগ করা সময়ে ভালো একটি সুযোগ পায়। তবে শারের ক্রসে বক্সে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি এমবোলো। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৮তম মিনিটে দলের রেকর্ড স্কোরার হ্যারি কেইনকে তুলে ইভান টনিকে নামান সাউথগেট। ১১৩তম মিনিটে বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে কোনাকুনি শটে উড়িয়ে মারেন সুইস ডিফেন্ডার শার। ১১৮তম মিনিটে জেরদান সাচিরির কর্নার লাগে ক্রসবারে। পরের মিনিটে আমদোনির শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও নায়ক পিকফোর্ড। টানা দ্বিতীয় ফাইনাল থেকে আর এক জয় দূরে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড।