রোনালদোর পর্তুগালের হৃদয় ভেঙে সেমিতে ফ্রান্স

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
টানা তিন ম্যাচ গোলশূন্য থাকল পর্তুগাল। তাদের অবিচল রক্ষণভাগ গোল করতে দেয়নি ফ্রান্সকেও। ক্লান্তিকর ১২০ মিনিটের ফুটবল শেষে ম্যাচের ভাগ্য গড়াল টাইব্রেকারে। শেষ ষোলোয় অবিশ্বাস্য তিন সেভে পর্তুগালের নায়ক হয়ে ওঠা গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা এবার আর পারলেন না। উল্টো পোস্টে মেরে বসলেন পর্তুগালের ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্স। ওই ব্যবধান ধরে রেখে, পাঁচ শটের পাঁচটিই জালে জড়িয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠল ফ্রান্স। জার্মানির হামবুর্গে শুক্রবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য সমতায় শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শু্যটআউটে জিতেছে ফরাসিরা। প্রতিপক্ষ রবার্তো মার্তিনেজের দলকে তারা হারিয়েছে ৫-৩ ব্যবধানে। তবে দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে ছিল না কাঙ্ক্ষিত ছন্দ। সবশেষে, টাইব্রেকারে ভাগ্য সহায় ফ্রান্সের, কপাল পুড়েছে পর্তুগালের। ২০১৬ আসরের ফাইনালে রোনালদো-পেপেদের কাছে হেরেই শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল ফরাসিদের। আগামী মঙ্গলবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দারুণ ছন্দে থাকা স্পেনের মুখোমুখি হবে দিদিয়ে দেশমের দল ফ্রান্স। এরই সঙ্গে শেষ হয়ে গেল ইউরোয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যাত্রা। এবারের আসর দিয়ে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটিতে নিজের পথচলা শেষের কথা আগেই জানান ৩৯ বছর বয়সি পর্তুগিজ মহাতারকা। বড় মঞ্চের বাড়তি উত্তেজনা, সঙ্গে নিজেদের সেরা রূপে মেলে ধরার চাপ-সবকিছুর প্রভাবই যেন পড়ে দল দুটির ওপর। শুরু থেকে তাদের খেলায় গতির ঘাটতি খুব বেশি না থাকলেও আক্রমণগুলো ঠিক গোছানো ছিল না। এই ম্যাচটি হয়ে থাকল ইউরোতে রোনালদোর শেষ ম্যাচ। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও তার নামের পাশে। তবে বিদায়টা সুখকর হলো না ৩৯ বছর বয়সি অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে কোনো গোলের দেখা পাননি তিনি। স্স্নোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোতেও টাইব্রেকারে যেতে হয়েছিল পর্তুগিজদের। সেদিন প্রথম তিনটি শটই সেভ করে নায়কে পরিণত হয়েছিলেন গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। কিন্তু এদিন আর পারেননি দুইবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফরাসিদের আটকে রাখতে। একে একে তাকে ফাঁকি দেন উসমান দেম্বেলে, ইউসুফ ফোফানা, জুলস কুন্দে, ব্র্যাডলি বারকোলা ও থিও হার্নান্দেজ। অন্যদিকে, রোনালদো ও বার্নার্ডো সিলভা প্রথম দুটি শটে জাল কাঁপালেও তৃতীয় শটে ফেলিক্স করে বসেন গড়বড়। ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মেনিয়ঁর নাগালের মধ্যে না থাকলেও বল বাম দিকের পোস্টে বাধা পায়। এরপর চতুর্থ শটে নুনো মেন্দেস লক্ষ্যভেদ করেন। কিন্তু তা আর যথেষ্ট হয়নি ২০১৬ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের হার এড়ানোর জন্য। এবারের আসরের প্রথম সেমিতে স্পেনের মুখোমুখি হবে এখনো ওপেন পেস্ন থেকে কোনো গোল না পাওয়া ফ্রান্স (দুটি আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে একটি পেনাল্টি থেকে)। ওই ম্যাচের ভেনু্য মিউনিখ। খেলা শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। শুক্রবার রাতের আগের কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময় গড়ানো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্বাগতিক জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় স্পেন।