শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

ইংল্যান্ডের শেষ চারে ওঠার বাধা সুইজারল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ইংল্যান্ড ফুটবল দল

ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে আজ শনিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে ডাসেলডর্ফে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। ২০২১ সালের ফাইনালিস্টরা এখনো পর্যন্ত নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় গতিময় সুইসদের বিপক্ষে কতটা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১০টায় শুরু হবে। আর এই ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি টেন ১ ও সনি টেন ২।

শেষ ষোলতে স্স্নোভাকিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয়ী হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বিপরীতে মুরাত ইয়াকিনের দল নক আউট পর্বে আগের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিদায় করতে খুব একটা সমস্যার মুখে পড়েনি। স্স্নোভেনিয়ার বিপক্ষে গ্রম্নপ-সি'র শেষ ম্যাচে ড্র করার পর সাউথগেটকে লক্ষ্য করে বিয়ার কাপ ছুঁড়ে মেরেছিল ক্ষুব্ধ ইংলিশ সমর্থকরা।

আরও একটি হতাশাজনক পারফরম্যান্সে আপাতত থ্রি লায়ন্সদের হয়তো শেষ আট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এমন শঙ্কাও করছে সমর্থকরা। জেলসেনকার্চেনের ম্যাচে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ইংলিশদের রুখে দিয়ে ইভান শারাঞ্জের গোলে এগিয়ে ছিল স্স্নোভাকিয়া। ২১ বছর বয়সি জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে ইনজুরি টাইমের পাঁচ মিনিটে সমতায় ফিরে ইংল্যান্ড। এরপর অতিরিক্ত সময় শুরুর হবার মাত্র ৫২ সেকেন্ডের মধ্যে হ্যারি কেইনের গোলে ইংল্যান্ডের ইউরোতে টিকে থাকার পাশাপাশি শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হয়। কিন্তু দলের সার্বিক পারফরম্যান্স মোটেই খুশী করতে পারেনি বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে এমন দিন তো আর প্রতিদিন আসবে না।

টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও ইংল্যান্ডের এ পর্যন্ত পারফরম্যান্সে কোনো ম্যাচেই যোগ্যতর দল হিসেবে জয়ী হতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে হারানোর পর ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু তারপরও বাস্তবতা হচ্ছে সাউথগেট এ নিয়ে টানা চারটি বড় টুর্নামেন্টে দলকে কোয়ার্টার ফাইনাল উপহার দিয়েছেন। বিশ্বকাপ ও ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে নক আউট পর্বে সাত জয় সাউথগেটকে ১৯৬৬ সালের পর অন্য সব ম্যানেজারদের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান অনেক সময় মাঠের পারফরম্যান্সে কারণে চাপা পড়ে যায়। ফুটবলীয় পরিসংখ্যান এমনই।

বাছাইপর্বে দুইবার ইতালিকে হারিয়ে ইউরো ২০২০-এর ফাইনালের প্রতিশোধ ইতোমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ডাসেলডর্ফে আরও একবার আজ্জুরিদের হারানোর সুযোগ আর পেল না ইংলিশরা। এজন্য অবশ্য সুইজারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানাতে হয়, শেষ ষোলতে তাদের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। নক আউটের ম্যাচে রেমো ফ্রুলারের গোলের পর রুবেন ভারগাসের দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটের গোলে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, আগামী ১৪ জুলাই বার্লিনে ইউরোপের নতুন কোনো চ্যাম্পিয়নকে দেখতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব।

গ্রম্নপ পর্বে হাঙ্গেরিকে হারানোর পর জার্মানির সঙ্গে ড্র করে ইয়াকিনের দল এখন টুর্নামেন্টের ডাক হর্স হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ নিয়ে ইউরোতে টানা দ্বিতীয়বার সুইসরা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। কিন্তু কোনো সময়ই বড় টুর্নামেন্টে এর থেকে বেশি দূর যেতে পারেনি সুইসরা। ইংল্যান্ডের এবারের ফর্মহীনতা সুইসদের কিছুটা হলেও আশাবাদী করে তুলেছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ইয়াকিনের দল এখনো পর্যন্ত টানা আট ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপের পর ১৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে পরাজিত হয়েছে, ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্বে রোমানিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল সুইজারল্যান্ড। সুইসদের বিপক্ষে ইংল্যান্ড তাদের শেষ পাঁচটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। ২০০৪ ইউরোর গ্রম্নপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে বর্তমান কোচ ইয়াকিন সুইস দলের সদস্য ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে