বিশ্বকাপে ম্যাচ না পেয়ে কষ্ট পেয়েছেন শরিফুল

আফসোস বলতে কপালে যেটা লেখা ছিল সেটার ওপর দিয়ে তো আর কিছু করার নেই। খুব আশায় ছিলাম যে একটা ম্যাচও (অন্তত) খেলব। তো এখানে একটু কষ্ট লাগা আরকি। আমি সব ম্যাচের জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। এখন দলের সমন্বয়ের কারণে (একাদশে সুযোগ আসেনি)। সবাই খুব ভালো করছিল, তো তার জন্য ম্যাচ পাওয়া হয়নি --শরিফুল ইসলাম

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপের বিমানে উঠেছিলেন দেশের পেস বোলিংয়ের মূল বোলার হিসেবে। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই একেবারে শেষ বলে আঙুলের ইনজুরিতে পড়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। স্বাভাবিকভাবেই মিস করেছিলেন শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। ধারণা করা হয়েছিল, পরবর্তীতে ঠিকই দেখা যাবে তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি শরিফুলের। বিশ্বকাপের পর শরিফুল ব্যস্ত নতুন অধ্যায়ে। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে কয়কদিন আগে দেশ ছেড়েছিল টাইগার তিন ক্রিকেটার। গতকাল বুধবার দেশ ছাড়লেন পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথমে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ড্রাফটে দল পাননি শরিফুল ইসলাম। পরে ফ্র্যাঞ্চাইজির আঙিনায় তার জন্য সুখবর বয়ে আনে গেস্নাবাল টি২০ কানাডা। এবার লঙ্কা থেকে আসে ডাক। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শরিফুল উড়াল দিলেন শ্রীলংকায়। বাঁহাতি এই পেসার সুযোগ পেয়েছেন ক্যান্ডি ফ্যালকনসে। শ্রীলংকার বিমান ধরার আগে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে অন্তত এক ম্যাচ খেলতে না পারার কষ্ট আছে তার। বাঁহাতি পেসার শরিফুল বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। বিশ্বকাপের আগের দুই বছর সাদা বলে টানা পারফর্ম করে দলের সবচেয়ে সফলও ছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলের চোট বদলে দেয় তার বিশ্বকাপ মিশন। চোটে প্রথম ম্যাচের জন্য ফিট না থাকলেও পরবর্তীতে তিনি ঠিক ছিলেন। যদিও পুরো বিশ্বকাপই তার দেখতে হয়েছে মাঠের বাইরে থেকে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ছিলেন না একাদশে। অনেকে ভেবেছিলেন ওই ম্যাচে সুযোগ পাবেন শরিফুল। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছিলেন শরিফুল। বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই পেসার বলেন, 'আফসোস বলতে কপালে যেটা লেখা ছিল সেটার ওপর দিয়ে তো আর কিছু করার নেই। খুব আশায় ছিলাম যে একটা ম্যাচও (অন্তত) খেলব। তো এখানে একটু কষ্ট লাগা আরকি। আমি সব ম্যাচের জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। এখন দলের সমন্বয়ের কারণে (একাদশে সুযোগ আসেনি)। সবাই খুব ভালো করছিল, তো তার জন্য ম্যাচ পাওয়া হয়নি। এলপিএলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। অনেকদিন ধরে ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। তো সেক্ষেত্রে যাতে এখানে ম্যাচ খেলে আগের মতো ফিরতে পারি।' পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আলীর বদলি হিসেবে ডাকা হয়েছে শরিফুলকে। গত বছর শ্রীলংকার লিগে তিনি খেলেছিলেন কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে। এবার ক্যান্ডি ফ্যালনকনসে যোগ দেওয়া শরিফুল বলেন, 'শেষবার যখন গিয়েছি, তখন এক ম্যাচ খেলতে পেরেছিলাম। এবারে আশা করছি ভালো কিছু হবে।' সবশেষ আইপিএলে তার সুযোগ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস তাকে বদলি হিসেবে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিসিবি তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি। এবার তাকে কানাডা ও শ্রীলংকার লিগে খেলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আইপিএলে খেলতে না পারার আক্ষেপ কিছুটা হলেও দূর হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে শরিফুল বলেন, 'অবশ্যই। তখন দেশের খেলা ছিল, সেজন্য হয়তো ছাড়েনি বিসিবি। এখন তো দেশের খেলা নেই। সময়টা ফাঁকা আছে। তাই অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।' শরিফুলের দল ক্যান্ডি ইতোমধ্যে ২ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে একটি। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম আসরে আরও তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন। ডাম্বুলা সিক্সার্সে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহিদ হৃদয় এবং কলম্বো স্ট্রাইকার্সে যোগ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লিগটি চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত।