প্রথম পেসার হিসেবে টি২০ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। ২০২২ সালের ওই আসরে ১৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৬ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টি২০'র বিশ্ব আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ। তবে তার সঙ্গে স্যাম কারেনের একটি জায়গায় অমিল আছে।
স্যাম কারেন ৬ রান করলেও বুমরাহ একটি রানও করেননি। রান না করেই টি২০ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া প্রথম খেলোয়াড় তিনি। ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে ব্যাট করার সুযোগ পান ভারতীয় তারকা। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাকে আউট হন সময়ের সেরা পেসার। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ২০০৭ সালের আসরে গেস্নন ম্যাকগ্রা ও ২০১৫ সালের আসরে মিচেল স্টার্ক কোনো রান না করেই টুর্নামেন্ট সেরা হন।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে কানাকড়ি অবদান না রাখলেও বল হাতে বুমরাহ ছিলেন আতঙ্ক। তার ওভারে ব্যাটাররা রান করবেন কী, উইকেট বাঁচাতেই হিমশিম খেয়েছেন। অবশ্য বুমরাহ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হননি। ১৭টি করে উইকেট নেওয়া ফজলহক ফারুকী ও অর্শদীপ সিংয়ের চেয়েও ২টি উইকেট কম তার।
তাও কেন বুমরাহ টুর্নামেন্ট সেরা হলেন? কারণ ভারতের শিরোপা জেতায় যথেষ্ট প্রভাব রেখেছেন তিনি, বা বলা যায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব। তার ছোটখাটো প্রমাণ পাওয়া যায় বুমরাহর বোলিং ইকোনমির দিকে তাকালে। এই বিশ্বকাপে ওভারপ্রতি ৪.১৭ করে রান দিয়েছেন তিনি। যা কমপক্ষে ৫ ম্যাচ খেলাদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বুমরাহ যে মাপের রত্ন, সেটা অনুধাবন করেই হয়তো ওয়াসিম জাফর একবার বলেছিলেন, ফরম্যাট, কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ, পাওয়ার পেস্ন, মিডলওভার, ডেথওভার কিছুই ম্যাটার করে না তার কাছে। সব পরিস্থিতিতেই ভালো করার মাল-মসলা আছে ভারতীয় পেসারের মধ্যে। জাফরের কথার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার মতো কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? নির্ধিদ্বায় 'না'-ই বলা যায়, এতটাই নিখুঁত ৩০ বছর বয়সি পেসার। যেন লাইন-লেন্থ মেপে মেপে বল করেন তিনি। সিম মুভমেন্ট, সুইং, বাউন্সার তো আছেই।