বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছিল ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল। আগে ব্যাটিংয়ে নামা টিম ইন্ডিয়ার ইনিংসে অষ্টম ওভারের পর আরও দীর্ঘসময় বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে জস বাটলার ভেবেছিলেন, পেসাররা বড় ভূমিকা রাখবেন। সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে উইকেট ছিল স্পিন সহায়ক। পেসারদের দিয়ে বেশি ওভার করানোর কৌশলগত
\হভুলটা পরাজয়ের পর স্বীকার করে নিচ্ছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
দুই স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন এবং আদিল রশিদ বল হাতে সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। ৮ ওভারে ৬.১৩ ইকোনমিতে ৪৯ রানের বেশি খরচ করেননি তারা। বাকি ১২ ওভার করেন পেসাররা, দিয়ে বসেন ১২১ রান। মঈন আলীর হাতে বল তুলে দিলে ম্যাচের পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।
সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে ব্যাটে-বলে স্রেফ বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। ভারতীয় দলের সেই প্রশংসা করছেন জস বাটলারও। তার মতে, পুরোপুরি যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে ভারত। ম্যাচ শেষে জস বাটলার স্বীকার করলেন, এই উইকেটে স্পিনারদের সামলানো
অনেকটাই কঠিন কাজ ছিল।
কন্ডিশনের কারণেই উল্টো ফল, বললেন ইংলিশ অধিনায়ক, 'হতাশাজনক, তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদেরকে উড়িয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয়, ওদেরকে আমরা ২০-২৫ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। ওই উইকেটে খেলা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং আমার চাওয়া ছিল ওদেরকে ১৪০-১৪৫ রানে আটক রাখা। ১৭০ করার পর রান তাড়া করাটা সবসময়ই কঠিন ছিল। হঁ্যা, তারা আমাদেরকে স্রেফ বিধ্বস্ত করেছে এবং জয়টা তাদের পুরোপুরি প্রাপ্য। দুই বছর আগের তুলনায় কন্ডিশন এখানে ভিন্ন। কৃতিত্ব ভারতকে দিতেই হবে। তারা দারুণ একটি ম্যাচ খেলেছে
এবং জয়টা তাদেরই প্রাপ্য।'
টানা দ্বিতীয়বার টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার মিশনে ভারতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ইংল্যান্ড। ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুর গেরো খুলতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। তাই ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং
লক্ষ্যও বড় মনে হয়েছে।
ইংল্যান্ড অধিনায়কের ভাষ্যমতে, 'আমার মনে হয় না টস খুব বড় কোনো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের দলে চমৎকার সব স্পিনার ছিল। আমাদের দু'জনও (রশিদ ও লিভিংস্টোন) খুব ভালো বোলিং করেছে। আমার বোধোদয় হচ্ছে, পিচে স্পিন যেভাবে ধরে, তাতে মঈনকেও বোলিং করানো উচিত ছিল। ওরা সংগ্রহটা বেশ বড় করে নিয়েছে, এরপর দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তাড়া করাটা সব সময়ই কঠিন।'
বাটলার যোগ করেন, 'আমরা সবকিছুই পর্যালোচনা করব এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করব। দল হিসেবে কীভাবে ভালো করা যায়, যারা জড়িত আছে, তাদের নিয়ে এবং খেলার স্টাইল নিয়েও আলোচনা করা দরকার। এ ধরনের একটি হারের পর শুধু একটা ম্যাচ, সর্বশেষ কয়েকটা ম্যাচের খেলাই পর্যালোচনা করার মতো সুযোগ তৈরি হয়।'
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন রোহিত। জবাবে ২১ বল হাতে থাকতেই ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এতে ৬৮ রানে হেরে বিদায় নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।