ফিরে আসার প্রতিশ্রম্নতি রশিদ খানের
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
দু'দলেরই প্রথমবার সুযোগ ছিল ফাইনালে খেলার। দক্ষিণ আফ্রিকা সুযোগ কাজে লাগালেও পারেনি আফগানিস্তান। বালির বাঁধের মতো ধসে পড়েছে রশিদ খানদের ব্যাটিং, অলআউট হয় মাত্র ৫৬ রানে।
প্রথমবারের মতো আইসিসির যেকোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পা রাখাটা আফগানিস্তানের জন্য গর্বের, তা নিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটে হেরে থেমে গেছে আফগানিস্তানের সেই স্বপ্নযাত্রা। মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হওয়া হতাশাজনক হলেও ফিরে আসার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক রশিদ খান।
আসরজুড়ে ভালো ক্রিকেট খেলে সেমিফাইনালে পা রাখা আফগানিস্তানের পরাজয়ে কন্ডিশনেরও দায় দেখছেন রশিদ খান, 'দল হিসেবে আমাদের জন্য কঠিন এক রাত গেছে। আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম। কিন্তু কন্ডিশন আমাদের সেটা করতে দেয়নি, তবে এটাই টি২০ ক্রিকেট, আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।'
সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপেস্নতে ২৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। তাদের অধিনায়কও দেখছেন ব্যাটারদের ব্যর্থতার দায়, 'আমার মনে হয় আমরা ব্যাটিংটা ভালো করিনি। ব্যাটিং নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে, বিশেষ করে মিডল অর্ডার কীভাবে খেলাটাকে গভীরে নিতে পারে তা নিয়ে। যেটা বলছিলাম, অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমরা দারুণ কিছু অর্জন করেছি, কঠোর পরিশ্রম করে আমরা আবার ফিরব। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে খাটতে হবে।'
চলমান টি২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারানোর পর সুপার এইটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ২০১০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলটি। বিশ্বকাপে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে রশিদ বলেন, 'আমাদের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। এ কারণেই আমরা এই টুর্নামেন্টে সফলতা পেয়েছি, ভালো শুরুটা প্রয়োজন। মুজিবের চোটের কারণে কিছুটা দুর্ভাগা ছিলাম, কিন্তু পেসাররা, এমনকি নবী নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে। তাতে আমাদের স্পিনারদের কাজটা সহজ হয়েছে।'
দারুণ টুর্নামেন্ট শেষে রশিদ আরও বলেছেন, 'আমরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করেছি। টুর্নামেন্টের আগে যদি কেউ আমাদের বলত, তোমরা সেমিফাইনাল খেলবে, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শীর্ষ কোনো দলের বিপক্ষে হেরে যাবে। আমরা তা ভালোভাবেই গ্রহণ করতাম। এটা মাত্র শুরু, যেকোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস আমাদের আছে। আমাদের শুধু প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ শেখার অভিজ্ঞতা ছিল। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা বিশ্বাস পেয়েছি। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। এখন শুধু কঠিন পরিস্থিতি, চাপের মুহূর্তগুলো সামলাতে হবে।'