দুই দলের জন্যই সমীকরণ ছিল একই। জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যেত দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখানে চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে নকআউট পর্ব অর্থাৎ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেছে স্পেন। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে এই ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
জার্মানির অ্যারেনা অফশালকেতে বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের 'বি' গ্রম্নপের ম্যাচে ইতালিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের চিরাচরিত ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলতে থাকে ইতালি। তাতে সফলও হয়েছিল দলটি। রক্ষণ দুর্গ আগলে রেখে হতাশা বাড়াচ্ছিল স্প্যানিশদের। কিন্তু আত্মঘাতী গোল হজম করে হারতে হয় তাদের।
তবে ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটেই অন্তত দু'টি গোল খেতে পারত গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের ক্রসে একেবারে ফাঁকায় হেড নিয়েও ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে ফাঁকি দিতে পারেননি। লাফিয়ে উঠে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এই পিএসজি গোলরক্ষক। ম্যাচের দশম মিনিটে আরও সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন উইলিয়ামস। আলভারো মোরাতার ক্রসে একেবারে ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে নেন তিনি।
ম্যাচের ২২ মিনিটে ফ্যাবিয়ান রুইজের দূরপালস্নার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান দোন্নারুম্মা। ৫১তম মিনিটে মার্ক কুকুরেয়ার ক্রস থেকে পেদ্রির নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে চার মিনিট পরই গোল পায় স্প্যানিশরা। নিকো উইলিয়ামসের কাটব্যাক থেকে হেড নিয়েছিলেন মোরাতা। ঝাঁপিয়ে দোন্নারুম্মার সেভ করলেও তা আগুয়ান রিকার্দো ক্যালাফিওরির পায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে উলস্নাসে মাতে দলটি।
তিন মিনিট পর মোরাতার শট কর্নারের বিনিময়ে দোন্নারুম্মা না ঠেকালে ব্যবধান বাড়তে পারতো। সেই কর্নার থেকে রবিন লে নরমান্ডের হেড গোললাইন থেকে ঠেকান আন্দ্রেয়া ক্যাম্বিয়াসো। ৬০তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ১০ মিনিট পর উইলিয়ামসের শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান বাড়েনি। শেষ পাঁচ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় আয়জে পেরেজের দুটি দারুণ প্রচেষ্টা দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
অন্যথায় হারের ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। তবে শেষদিকে সমতায় ফিরতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিল ইতালিয়ানরা। কিন্তু জমাট রক্ষণে তাদের সব প্রচেষ্টাই রুখে দেয় স্পেন। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় চ্যাম্পিয়নদের।