বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে উত্তীর্ণ হওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেহাল দশা বাংলাদেশি ওপেনারদের।
অবস্থা যে কতটা করুণ, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বিশটি দলের মধ্যে ওপেনিং জুটির রান তোলার দিক থেকে নাজমুল শান্তর দলের অবস্থান ১৬ নম্বরে। টাইগার ওপেনারদের এতটাই বেহাল অবস্থা,র্ যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা ওমান, নামিবিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড কিংবা নেদারল্যান্ডসও বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে।
টি২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওপেনারদের রান করার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা রূপ নিয়েছে ভয়াবহতায়। গ্রম্নপ পর্বে চার ম্যাচ ও সুপার এইটের এক ম্যাচসহ মোট পাঁচ ম্যাচ খেলা টাইগার ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে মাত্র ৮৮ রান। ওপেনিংয়ে ভরাডুবির ফলশ্রম্নতিতে টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটিং পজিশন বদল করেছিল, কিন্তু ওপেনিং জুটির ভাগ্য বদলায়নি।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে তানজিদ তামিমের সঙ্গে সৌম্য সরকার ওপেন করেছিলেন। ওই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারায় পরে আর কোনো ম্যাচে সুযোগ হয়নি তার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে সৌম্যের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গী হওয়া অধিনায়ক নাজমুল শান্তও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় গ্রম্নপ পর্বের শেষ ম্যাচে এবং সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হয়ে মাঠে নামেন লিটন দাস।
টাইগার ওপেনারদের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে ৭২ রান করে শীর্ষে অবস্থান করছেন লিটন দাস। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন তিনি। সমান সংখ্যক ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬৭ রান করে টাইগার দলপতি শান্তর অবস্থান দ্বিতীয়। তিনি খেলেছে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস। তিন নম্বরে থাকা তানজিদ তামিমের রান ৪৭, সর্বোচ্চ ৩৪।
টি২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এক নম্বর ওপেনিং জুটিটি হলো অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের। বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলে এই দুই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৩৪৮ রান। দুই ফিফটিতে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৯ রান। অপরদিকে এক ফিফটিতে হেড করেছেন ১৭৯ রান।
সেরা ওপেনিং জুটির তালিকার দুই নম্বরে আছেন আফগান ওপেনাররা। পাঁচ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৩৩২ রান। ইংল্যান্ডের ওপেনাররা ২৩৮ রান নিয়ে রয়েছেন তালিকার তিন নম্বরে।