শেষ ষোলোয় জার্মানি

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথমার্ধে জার্মানির কঠিন পরীক্ষা নিল হাঙ্গেরি। তবে গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের দেয়াল ভেদ করতে পারল না তারা। দুই অর্ধে দুই গোল করে আরেকটি দারুণ জয় তুলে নিল জার্মানরা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় ওঠে গেল ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। স্টুটগার্টে বুধবার রাতে 'এ' গ্রম্নপের ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানি। জামাল মুসিয়ালা এগিয়ে নেন দলকে। ওই গোলে অবদান রাখা অধিনায়ক ইলকাই গিনদোয়ান পরে নিজে করেন দ্বিতীয়টি। তিন ম্যাচ পর হাঙ্গেরিকে হারাতে পারল জার্মানি। ২০২২ সালে সবশেষ ম্যাচে জার্মানরা ১-০ গোলে হেরেছিল নেশন্স লিগে। তার আগে দু'টি ড্র হয়েছিল। বড় টুর্নামেন্টে এই দুই দলের চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে গোল হলো মোট ২২টি। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে গ্রম্নপ পর্বে তখনকার পশ্চিম জার্মানিকে ৮-৩ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হাঙ্গেরি। তবে ওই সময়ের প্রবল শক্তিশালী দলটিকে ফাইনালে ৩-২ গোলে হারিয়ে চমকে দেয় জার্মানরা। এরপর গত ইউরোয় জয়ের পথেই ছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু লেয়ন গোরেটস্কার ৮৪তম মিনিটের গোলে ২-২ ড্র করে জার্মানি। এবার আন্টোনিও রুডিগারের ভুলে প্রথম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল জার্মানি। তবে এগিয়ে এসে বার্নাবাস ভার্গার প্রচেষ্টা রুখে দলকে রক্ষা করেন সমালোচনার মুখে থাকা গোলরক্ষক নয়ার। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে একাদশ মিনিটে প্রথম উলেস্নখযোগ্য সুযোগ পায় জার্মানি। কাছ থেকে কাই হাভার্টজের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পেতার গুলাসি। ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বক্সে মুসিয়ালার পাস গিনদোয়ানের পা ছুঁয়ে লাগে উইলি অর্বানের গায়ে। গিনদোয়ানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান হাঙ্গেরির এই ডিফেন্ডার। তার থেকে বল কেড়ে নিয়ে জার্মান অধিনায়ক পাস দেন মুসিয়ালাকে। জটলার ভেতর থেকে জাল খুঁজে নেন তরুণ ফরোয়ার্ড। অর্বান পড়ে যাওয়ার পর ফাউল না ধরায় রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন হাঙ্গেরির খেলোয়াড়রা। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কোনো ইউরোয় গ্রম্নপ পর্বে দলের প্রথম দুই ম্যাচেই গোলের কীর্তি গড়লেন ২১ বছর বয়সি মুসিয়ালা। এবারের ইউরোর আগে জার্মানির হয়ে ২৯ ম্যাচে তার গোল ছিল স্রেফ ২টি। ইউরোয় ২ ম্যাচে করলেন দু'টি। আসরে একাধিক গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনি।