টি২০ বিশ্বকাপে একের পর এক ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়াচ্ছেন ফাজালহক ফারুকি। বিশেষ করে, নতুন বলে তার পারফরম্যান্স নজর কাড়ছে সবার। দুই দিকেই সুইং করাতে পারার দক্ষতা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। আফগানিস্তানের এই পেসার বলেছেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বাকিদের থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টায় আয়ত্ত করেছেন এই দক্ষতা। যা তাকে এখন দিচ্ছে সুফল।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বেশ সফল ফারুকি। একবার করে পেয়েছেন পাঁচ ও চার উইকেটের স্বাদ। সব মিলিয়ে, ৩ ম্যাচে ৩.৫০ গড় ও ওভারপ্রতি ৩.৭০ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। এখনো ১০ উইকেটও নিতে পারেননি আর কেউ। ১২ উইকেটের মধ্যে পাওয়ার পেস্নতে তার শিকার সাতটি। আসরে প্রথম ছয় ওভারে ফারুকির চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি আর কেউ। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানের সুপার এইটে জায়গা করা নেওয়ায় বড় অবদান আছে তার। বাঁহাতি এই পেসার শুক্রবার পাপুয়া নিউ গিনিকে ৯৫ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচেও ছিলেন উজ্জ্বল। স্রেফ ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া ফারুকি ম্যাচ শেষে তুলে ধরেন তার সুইং বোলিংয়ের দক্ষতার পেছনের রহস্য। তিনি বলেন,' আমার কাছে মনে হয়, আমার ভাবনা খুব সাধারণ। যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বা অনূর্ধ্ব-১৬ দল খেলতাম, ভাবতাম, আমি তো বিশাল দেহী মানুষ নই। এমন কেউ নই যে অনেক লম্বা ও দ্রম্নত গতিতে বোলিং করতে পারে। সেই সময়, আমি কেবল অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করার জন্য নিজের দক্ষতা বাড়ানোর কথা ভাবতাম সুইং বোলিং শেখা শুরু করে দেই। আর এখন এটা আমার কাছে সহজ ব্যাপার।'
ফারুকি বললেন,' ব্রাভো, তার সঙ্গে গত চার বছর ধরে আছি। প্রতিবারই একই দলে তার সঙ্গে খেলেছি- ডেথ ওভারে আমরা কীভাবে বোলিং করব, রুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে কীভাবে বোলিং করব, সে বিষয়ে তিনি আমাদের কিছু পরামর্শ দেন। তিনি সবার মেন্টর। তিনি পুরানো বলের বোলার, ডেথ ওভারের। তবে নতুন বলে আমি যাই করি না কেন, সেটা আমার দক্ষতা। তিনি শুধু আমাকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, 'তুমি ভালো করছো' এবং এটাই মূল বিষয়, যদি আপনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কিছু সমর্থন পান... তিনি আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন, বিশেষ করে ডেথ ওভারে, চাপের সময় কীভাবে বোলিং করব, স্স্নোয়ার বল কীভাবে ব্যবহার করব, লেংথ বলটা কীভাবে ব্যবহার করব।'