টি২০ ক্রিকেটে এমনটাও হয়? ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গেল মাত্র ১৯ বলে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছে ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টের বর্তমান শিরোপাধারীরা ওমানকে মাত্র ৪৭ রানে অলআউট করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৩.১ ওভারে। ১০১ বল হাতে রেখে টি২০ ম্যাচ জয়! স্রেফ বিস্ময়কর বটে।
টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে যেতে জয়ের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে রান রেটের চাপও বিদ্যমান। সবমিলিয়ে নানান সমীকরণ! এমন ম্যাচে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড।
টি২০ বিশ্বকাপে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। তবে ওমানকে হারিয়ে সেই শঙ্কা উড়িয়ে শেষ আটের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল জস বাটলারের দল।
শুক্রবার অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের 'বি' গ্রম্নপের ম্যাচে ১০১ বল হাতে রেখে ওমানকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বমঞ্চে কোনো দলই এত বেশি বল হাতে রেখে জয়ের মুখ দেখেনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন ফিল সল্ট। বিলাল খানের পরের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর ৫ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উইল জ্যাকস। তবে জস বাটলারের ৮ বলে ২৪ এবং জনি বেয়ারস্টোর ২ বলে ৮ রানের ক্যামিওতে দাপুটে জয় পায় ইংল্যান্ড।
এর আগে ৯০ বল হাতে রেখে দ্রম্নততম জয়ের রেকর্ড ছিল, সেটিও শ্রীলংকার। ২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা।
এর আগে ওমানকে মাত্র ৪৭ রানেই গুটিয়ে দেয় ইংলিশরা। এদিন ২ উইকেটে ২৪ রান তুলেছিল ওমান। তবে পরের ২৩ রান তুলতেই ৮ উইকেট খুইয়েছে তারা। কেবল শোয়াইব খান দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন। ২৩ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলেই সময় পাড় করেছেন।
বিশ্বকাপ মিশনে এটি ইংল্যান্ডর প্রথম জয়। এর আগে বৃষ্টির বাধায় ভেসে যায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬ রানে হেরে যায় তারা। তাতে অনিশ্চয়তায় পড়ে চলতি বিশ্বকাপে তাদের সুপার এইটের যাত্রা। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে 'বি' গ্রম্নপের তৃতীয় স্থানে বাটলাররা। টানা ৩ জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সে পথে অনেকটা এগিয়ে স্কটল্যান্ড।
পরের রাউন্ডে যেতে নামিবিয়াকে হারানোর পাশাপাশি ইংল্যান্ডের প্রার্থনা করতে হবে যেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কটল্যান্ড হারে। তবে কোনো ম্যাচে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালে আসর থেকে ছিটকে যাবে তারা। নেট রান রেটে আপাতত স্কটল্যান্ডের (২.১৬৪) তুলনায় অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড (৩.০৮১), তাই পয়েন্ট সমান হলেও সুপার এইট খেলবে বাটলাররা।