বিশ্বকাপের নাসাউ স্টেডিয়াম ভেঙে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে পার্ক

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ভেঙে ফেলা হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম -ওয়েবসাইট
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যে স্টেডিয়ামের জন্মই হয়েছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য। বিশ্বের প্রথম 'মডিউলার' ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলা হচ্ছিল এটিকেই। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এই স্থাপনা চাইলেই করা যায় স্থানান্তর। গত বুধবার অনুষ্ঠিত ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটাই ছিল এই ভেনু্যতে শেষ ম্যাচ। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল আইসিসি। আর সেই বিস্ময়কর কর্মযজ্ঞের একটা নিদর্শন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শুধুমাত্র বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই মাঠে বিশ্বকাপের আর কোনো ম্যাচ না থাকায় প্রয়োজনও ফুরিয়েছে অবকাঠামোর। তাই থাকছে না আর এই স্টেডিয়ামও। নিউইয়র্কের ইস্ট মিডো অঞ্চলে আইজেনহাওয়ার পার্কের একটা অংশে অস্থায়ী স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। মাত্র ১০৬ দিনে নির্মাণ সম্পন্ন করা হয় এই স্টেডিয়াম। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের স্থাপনার সংযুক্তি খুলে ও বুলডোজারের মাধ্যমে ভাঙা অংশ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। জানা গেছে, এই স্টেডিয়াম ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের পাশে অনেকগুলো বুলডোজার দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। স্টেডিয়ামটির বিভিন্ন সংযুক্তি এবং কিছু স্থাপনা ভেঙে সরিয়ে ফেলতে প্রায় ৬ সপ্তাহ বা ৪২ দিনের মতো সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিলে আবার আগের মতো সাধারণ মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন। স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড আগের মতোই ঘাস, বালি আর কর্দমাক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ড্রপইন পিচের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। আইসিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ চাইলে এই উইকেট নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। অথবা আইসিসি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে উইকেট অন্য জায়গায় সরিয়েও নিতে পারে। বিশ্বকাপে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম সমালোচিত হয়েছে এর ড্রপইন পিচের চরিত্র এবং বাজে আউটফিল্ডের কারণে। এই মাঠে রান পেতে ব্যাটারদের প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাই প্রতিটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং।