গ্রম্নপ পর্বের টানা তিন ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। এই হারের ফলে গ্রম্নপ পর্ব থেকেই বিদায়ের পথে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচ জিতলে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুপার এইটে যাওয়ার ভালো সুযোগ থাকতো। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হলো না। টানা দুই ম্যাচ হেরে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য ঝুলে রইলো অনেক সমীকরণের ওপর।
২০২২ টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা এবার গ্রম্নপ পর্ব থেকেই বিদায়ের পথে। গ্রম্নপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও হেরেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।
ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। তাতে ১৩ রানের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেরফান রাদারফোর্ডের শেষ ২ ওভারে ঝড়ো ৩৭ রানসহ ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসেই ১১২ রানে ৯ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছিল ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি এই মন্থর উইকেটে। সেই ছন্দ তারা দলগতভাবে ধরে রেখে জ্বলে ওঠে বোলিংয়েও।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কিউইরা। আকিল হোসেনের বলে চেজের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার কনওয়ে। এরপর ৫০ রান তোলার আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে ভালো শুরু করা ফিন অ্যালেন ২৩ বলে ২৬ রান করে জোসেফের বলে আউট হন। আর কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ফিরেছেন মাত্র ১ রানে।
এরপর অবশ্য গেস্নন ফিলিপস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি জোসেফ। ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফেরেন ফিলিপস। তার বিদায়েই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে ৩৩ রানের প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের। ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছিলেন স্যান্টনার। তবে শেষ পর্যন্ত বাকি ৪ বলে মাত্র ৭ রান নিতে পেরেছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ। গুদাকেশ মতি তার ৪ ওভারে ২৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ দিকে শেরফেন রাদারফোর্ডের ৩৯ বলে ২ চার এবং ৬ ছক্কার মারে ৬৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা। এমন দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে রাদারফোর্ডের হাতে।