আজকের যায়যায়দিন

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজের পঞ্চম ও শেষটির আগে চোটে পড়েন পেসার তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন। যে কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশে ছিলেন না তিনি। টি২০ বিশ্বকাপেও তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি তাসকিন। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।

শ্রীলংকা ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ দল। আগামী ৮ জুন ভোরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। তার আগে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে বিসিবি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে ঢাকা এক্সপ্রেসকে।

লঙ্কান ম্যাচকে সামনে রেখে পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে সোমবার বোলিং অনুশীলন করেছেন তাসকিন। পরে তার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ৫ জুন থেকে পুরোদমে বোলিং শুরু করবেন তাসকিন।

বিসিবি ফিজিও বায়েজিদ বলেন, 'তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। আউটডোরে বোলিং করার পরিকল্পনা ছিল যেহেতু বোলিং করার পরিকল্পনা করেছে, তাকে এ কারণে ইনডোরে আসা। ৫ জুন তার পুরোপুরি বোলিং শুরুর কথা। শ্রীলংকার ম্যাচে ওকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এখন পর্যন্ত তার খুব ভালো অগ্রগতি।'

শ্রীলংকা ম্যাচের আগে তাসকিনের সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বায়েজিদ। তার প্রত্যাশা শ্রীলংকা ম্যাচের আগেই শতভাগ ফিট তাসকিনকে পাওয়া যাবে। বায়েজিদ বলেন, 'তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের চোট চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি ৭ জুনের মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।'

এদিকে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে হাতে আঘাত পান শরিফুল ইসলাম। যার কারণে তার হাতে ৬ সেলাই পড়ে। সেই ইনজুরির কারণেই শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না শরিফুল। এখন শরিফুল ইনজুরিতে পড়ায় চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্টের।

বিশ্বকাপে গ্রম্নপ 'ডি'-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রম্নপ পর্বে চারটি ম্যাচ মোট তিনটি ভেনু্যতে খেলবে বাংলাদেশ। শান্ত বাহিনীর পরের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। তবে ১০ জুন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের আগে, এই মাঠে ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাকিব-রিয়াদরা অন্তত কিছুটা ধারণা নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টাউনের সেন্ট ভিনসেন্টে। কিংস্টাউনে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আর গ্রম্নপ পর্বের শেষ ম্যাচে, ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে একই ভেনু্যতে নামবে।