শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

টি২০ বিশ্বকাপের মজার ঘটনা

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
টি২০ বিশ্বকাপের মজার ঘটনা

শুরু হয়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্বের চার-ছক্কার মহোৎসব টি২০ বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে পর্দা উঠেছে প্রতিযোগিতার। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২০ দল অংশ নিয়েছে। আগের কোনো আসরে যা দেখা যায়নি। তবে আগের আট আসরে উলেস্নখযোগ্য ও মজার কী ঘটনা ঘটেছে, তা থাকছে এ প্রতিবেদনে।

ভারতের শিরোপা : ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক টি২০'র যাত্রা শুরুর পর ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত সে আসরের রোমাঞ্চকর ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

বোল-আউট পদ্ধতি : টি২০ বিশ্বকাপে যত উলেস্নখযোগ্য ও মজার ঘটনা ঘটেছে তার বেশির ভাগই অভিষেক আসরেই। গ্রম্নপ পর্বের ম্যাচে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াইয়ের ম্যাচটি টাই হয়েছিল। সে সময় সুপার ওভারের নিয়ম ছিল না। তাই ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়েছিল বোল-আউট পদ্ধতিতে। এ নিয়মে ব্যাটারশূন্য উইকেটে বল করে স্টাম্প ভাঙতে হতো বোলারদের। যেখানে পাঁচ প্রচেষ্টার মধ্যে প্রথম তিনটাতে ভারত সফল হলেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। তাতে ৩-০ ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট আদায় করে নেয় ভারত।

যুবরাজের ৬ ছক্কা : বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ বলে ৬ ছক্কার মারার রেকর্ডটা ২০০৭ আসরেই ঘটেছে। ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের বিপরীতে রেকর্ডটি গড়েছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং। তখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটিই ছিল ৬ বলে ৬ ছক্কা মারার প্রথম ঘটনা।

সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড : ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করেছিল শ্রীলংকা। আন্তর্জাতিক টি২০তে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের এ রেকর্ড ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ভাঙলেও, বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখনো শ্রীলংকার রেকর্ডটি অক্ষত আছে।

সর্বনিম্ন স্কোর : বিশ্বকাপে যেমন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড আছে, তেমন আছে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জাও। ২০১৪ আসরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ২০২১ আসরে ৪৪ রানে অলআউট হয়ে পরের অবস্থানটিও তাদের।

ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সেঞ্চুরি : টি২০ বিশ্বকাপে দুটি উলেস্নখযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। এখন পর্যন্ত টি২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন অবসর নিয়ে ইংল্যান্ডের কোচ হওয়া কিউই ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২৩ রান করেছিলেন তিনি।

হ্যাটট্রিকের রেকর্ড : বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিকের রেকর্ড আছে ৬টি। শুরুর আসরেই প্রথম রেকর্ডটি গড়েছিলেন অজি পেসার ব্রেট লি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরপর তিন বলে তিনি শিকার করেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি মর্তুজা ও অলক কাপালিকে।

১০ ছক্কার রেকর্ড : চলতি আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০ ছক্কার মারে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স। আর মাত্র দুটি ছক্কা হাঁকাতে পারলেই তিনি ভাঙতে পারেন ক্রিস গেইলের রেকর্ড। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছেন সাবেক এ ক্যারিবীয়। বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটিও দখলে রেখেছেন। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ১১৭ রান করেছিলেন তিনি।

এক রানের আক্ষেপ : বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ১ রানে জয়ের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। এর মধ্যে দুবারই ফল গেছে ভারতের পক্ষে। দুবার আক্ষেপে পুড়েছে পাকিস্তান। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড, ২০১২ ও ২০১৬ বিশ্বকাপে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত আর গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ১ রানের জয় পেয়েছিল।

দ্রম্নততম ফিফটি : ২০১২ বিশ্বকাপে মাত্র ১২ বল মোকাবিলায় দ্রম্নততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ। যে রেকর্ডটি গত আট আসরে ভাঙতে পারেনি আর কোনো ব্যাটার।

সর্বোচ্চ সংগ্রহ সাকিব ও কোহলির : ৪৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান আর ১১৪১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট কোহলি। চলতি আসরে দুজনের সামনে যে রেকর্ড আরও বড় করার সুযোগ থাকছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে