দাবার বোর্ডে হার এখনো বেশ পোড়ায় রাণী হামিদকে

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দাবা তো বটেই, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম কিংবদন্তি রাণী হামিদ। ৮১ বছর বয়সেও তিনি দাবা খেলে চলছেন। এই বয়সেও তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে দেশে ও বাইরে লড়ছেন এই প্রবীণ দাবাড়ু। শুক্রবার জাতীয় মহিলা দাবায় ছিল পঞ্চম স্থান নির্ধারণী পেস্ন-অফ। যেখানে নৌবাহিনীর মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার আহমেদ ওয়ালিজার কাছে হেরে আসন্ন হাঙ্গেরি অলিম্পিয়াডে যাওয়া হচ্ছে না দেশের দাবার রাণীর।  দুই বছর পরপর দাবা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগেই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। দুই বিভাগে জাতীয় দাবায় শীর্ষ পাঁচজন দাবাড়ু অলিম্পিয়াডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। জাতীয় মহিলা দাবা বৃহস্পতিবার শেষ হলেও, পঞ্চম স্থানে রাণী হামিদ ও ওয়ালিজা সমান পয়েন্ট থাকায় শুক্রবার পেস্ন-অফ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ালিজা ১.৫-০.৫ গেমে বাংলাদেশ আনসারের মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার রাণী হামিদকে পরাজিত করে পঞ্চম স্থান লাভ করেন।  বয়স আশি পার হলেও দাবার বোর্ডে হার এখনও বেশ পোড়ায় রাণী হামিদকে। বেশ হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন,? 'জেতা গেম ছিল। নিজের ভুলে হারলাম। খুব খারাপ লাগছে।' জাতীয় মহিলা দাবায় সর্বাধিক ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন রাণী হামিদ। ১৯৭৯-৮৫ পর্যন্ত টানা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এবার ৪২তম আসরে তিনি তার স্বাভাবিক খেলাই খেলতে পারেননি। এর কারণ সম্পর্কে বলেন,? 'গরমের মধ্যেই খেলতে হয়েছে। এসি সেভাবে ছিল না। প্রতিপক্ষের কৃতিত্বের চেয়ে আমার ভুলই বেশি।' আশির দশকে বাংলাদেশের দাবা অলিম্পিয়াডের সূচনালগ্ন থেকেই অংশগ্রহণ করে আসছেন রাণী হামিদ। ২০২০ সালে ডেঙ্গু জ্বরের কারণে বাজে পারফরম্যান্সে সেবার অলিম্পিয়াডে জায়গা করে নিতে পারেননি। এবারও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন পেস্ন-অফে। তাই সামনে আর অলিম্পিকে খেলতে পারবেন কি না এই শঙ্কা ভর করেছে রাণী হামিদের কণ্ঠে, 'এখন আমার বয়স ৮১। এখনই মাঝেমধ্যে চালে ভুল হয়। নতুনরাও উঠে আসছে। দুই বছর পর তো আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমি কি আর অলিম্পিয়াড খেলতে পারব?' অলিম্পিয়াড খেলাটা কঠিন হলেও আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট খেলতে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রাণী হামিদ। সামনে ভারত যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার, 'দাবা আমার জানপ্রাণ। দাবা খেলতে ভালোবাসি। অলিম্পিয়াড না হলেও অনেক টুর্নামেন্টে আমি আমন্ত্রণ পাই, সেগুলো খেলব।'